ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: বিয়ে দুইজন মানুষের মধ্যে একটি সামাজিক ও আইনি চুক্তিবিশেষ। দুটি পরিবারের মধ্যে সামাজিক বন্ধনও। বিয়ে সব সময় যে সফল হবে, রূপকথার গল্পের মতো সব দম্পতিই যে সুখে শান্তিতে দিন কাটাতে পারবে তা নয়। মতের অমিল হলে বা মনের অমিল চরম পর্যায়ে পৌঁছালে, নিপীড়ন আর বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলায় কখনো বিচ্ছেদ অবশ্যম্ভাবী হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু সম্পর্ক শুরুর আগেই যদি শেষ হয়ে যায় তখন নির্বাক হওয়া ছাড়া কিছুই করার থাকে না। বিশ্বাস করে যাকে বিয়ে করে ঘরে তুললো সে যদি প্রতারণা করে বাসরঘর থেকে পালিয়ে যায় তখন বিষয়টি কাউকে বলাও লজ্জার।

ঠিক এমনই অবাক করা এক ঘটনা ঘটেছে ঝিনাইদহ শহরে। বাসর রাতে স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অজ্ঞান করে টাকা-স্বর্ণালঙ্কার ও শাশুড়ির মোবাইল নিয়ে পালিয়ে গেলেন নববধূ। সেই সঙ্গে নববধূর পালিয়ে যাওয়ার দৃশ্য ধরা পড়েছে বাড়ির সিসি ক্যামেরায়।

জানা যায়, ঝিনাইদহ শহরের এক যুবকের (নাম-পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক) সঙ্গে চুয়াডাঙ্গার মসজিদপাড়ার গোলাম মোস্তফা লালার মেয়ে উমাইয়া আক্তার লিথির বিয়ে হয়। নববধূকে ঘরে তোলার দিনই বাসরঘরে স্বামীকে অজ্ঞান করে পালিয়ে যান।

এলাকাবাসী ও ছেলের পরিবার জানায়, দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ২৮ জুন ঝিনাইদহ শহরের ব্যাপারীপাড়ায় লিথির বোনের বাড়িতে এ বিয়ে হয়। ওই দিনই নববধূকে শ্বশুরবাড়িতে পাঠায় মেয়েপক্ষের লোকজন। পরের দিন মেয়েপক্ষের দাওয়াত ছিল ছেলের বাড়িতে। কিন্তু ২৮ জুন বাসর রাতে শরবতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে ওই শরবত স্বামীকে খাইয়ে অজ্ঞান করে ফেলেন নববধূ। এরপর রাত ২টা ৪৫ মিনিটে ২০ হাজার টাকা, পাঁচ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও বিয়েতে উপহার হিসেবে পাওয়া যাবতীয় পোশাক-শাড়ি ও অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যান নববধূ। শ্বশুরবাড়ি থেকে গভীর রাতে জিনিসপত্র নিয়ে নববধূর পালিয়ে যাওয়ার সেই দৃশ্য ধরা পড়ে সিসি ক্যামেরায়।

প্রতিবেশীরা জানান, ঝিনাইদহ শহরের ওই যুবকের সঙ্গে লিথির বিয়ে হয়। কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে এসেই গভীর রাতে বাসরঘরে স্বামীকে অজ্ঞান করে পালিয়ে যান লিথি। ওই বাড়িতে সিসি ক্যামেরা থাকায় নববধূর পালিয়ে যাওয়ার দৃশ্যটি ধরা পড়েছে। না হয় এ ঘটনা কারও বিশ্বাস হতো না।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান খান বলেন, ছেলেকে পছন্দ হয়নি এজন্য নববধূ গভীর রাতে পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় ছেলের বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি জিডি করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করছি আমরা।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/জুলাই ০৬,২০১৯)