দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক থেকে রিকশা তুলে দেয়ার প্রতিবাদে গত দুই দিন বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করেন রিকশাচালকরা। এতে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ। কিন্তু বুধবার সকাল থেকে আন্দোলনকারী রিকশাচালকেরাসড়কে নামেননি। যে কারণে স্বাভাবিক রয়েছে সব ধরনের যান চলাচল।

এ ছাড়া রিকশা নিষিদ্ধ করা কুড়িল, বাড্ডা, রামপুরা সড়কে সকাল থেকেই অল্প সংখ্যক রিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে আগে প্রধান সড়কে যেমন ব্যাপকভাবে রিকশা চলাচল করতো ঠিক সেভাবে রিকশা না চলে অল্প সংখ্যক রিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে।

উত্তর বাড্ডা ফুটওভার ব্রিজ সংলগ্ন রাস্তায় যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন বেশ কয়েকজন রিকশাচালক। তাদের মধ্যে একজন রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমাদের সবার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা আজ সড়ক অবরোধ করিনি। আমরা রিকশা নিয়ে সড়কে নেমেছি। আজ কেউ আর আমাদের রিকশা চলাচলে বাধা দিচ্ছে না। তবে সবাই বড় রাস্তায় রিকশা নামায়নি। অনেকে গলির ভেতরে রিকশা চালাচ্ছেন। বড় রাস্তায় অল্প সংখ্যক রিকশা চলছে। আমাদের রিকশা মালিক সমিতি, চালক নেতারা বসে যে সিদ্ধান্ত দেবে আমরা সেভাবেই চলব।’

এদিকে দুপুরে গুলশানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নগরভবনে রিকশা মালিক-চালক সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে সমস্যা সমাধানে বৈঠকে বসবেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএনসিসির প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা এ এস এম মামুন।

তিনি বলেন, মেয়র আতিকুল ইসলামের সঙ্গে আজ রিকশা মালিক-চালক সমিতির নেতৃবৃন্দ, ডিএমপি কমিশনার, সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতউল্লাহ এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিদের বৈঠক হবে। সভা শেষে এ বিষয়ে ব্রিফ করা হবে।

এর আগে গত ৩ জুলাই রাজধানীর নির্দিষ্ট মূল সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন। পরে একই সিদ্ধান্তের কথা জানান উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। প্রাথমিকভাবে গাবতলী থেকে আসাদগেট হয়ে আজিমপুর ও সায়েন্স ল্যাব থেকে শাহবাগ পর্যন্ত রিকশা চলাচল করবে না সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া কুড়িল বিশ্ব রোড থেকে রামপুরা হয়ে খিলগাঁও-সায়েদাবাদ পর্যন্ত রিকশাসহ অন্যান্য অবৈধ ও অনুমোদিত যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ডিটিসিএ ( ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কন্ট্রোল অথরিটি) এর এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রিকশাচালকরা গত দুইদিন আন্দোলন করে আসছিল। দ্বিতীয়দিনের মতো মঙ্গলবার দিনব্যাপী সড়ক অবরোধের পর বিকেল ৪টার দিকে সড়ক ছাড়ে রিকশাচালকরা।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/জুলাই ১০,২০১৯)