দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: মার্কিন পররাষ্ট্র নীতিতে মানবাধিকারের ভূমিকা পর্যালোচনা করতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর ১০ সদস্যের প্যানেলে দেশটির বিখ্যাত মুসলিম বুদ্ধিজীবী হামজা ইউসুফ যোগ দেয়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে।

সোমবার ‌‘অপরিহার্য অধিকার বিষয়ক কমিশন’ নামের একটি প্যানেল গঠনের কথা জানিয়েছেন পম্পেও। তিনি বলেন, বিভিন্ন মতাদর্শ ও ধর্মের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জননীতিতে মানবাধিকারের ভূমিকা নিয়ে পর্যালোচনা করাই হচ্ছে তাদের কাজ।

তবে প্যানলটি নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন সমালোচকরা। বিশেষকরে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক ও ভ্যাটিকানে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ম্যারি অ্যান গ্লানডনের নাম প্যানেলে দেখার পর এই সমালোচনা বিকট রূপ নিয়েছে।

বেইজিং ১৯৯৫ সালে জাতিসংঘের নারী সম্মেলনে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার হিসেবে গর্ভপাতকে স্থান দেয়ার কথা উঠলে এই অধ্যাপক তার বিরোধিতা করেন। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনা হয় তার বিরুদ্ধে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করা ইসলামিক শিক্ষার প্রভাষক ড. উসামা আল আজামি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করতে ইউসুফের সিদ্ধান্ত পশ্চিমা ইসলামের সংকটময় বিকাশ।

তিনি বলেন, পশ্চিমা বিশ্বের সবচেয়ে পরিচিত ও বিশ্বব্যাপী সম্মানিত একজন মুসলিম বুদ্ধিজীবী নিজের ভাগ্যকে আমেরিকার ইতিহাসের সর্বোচ্চ অর্থলোলুপ ও ইসলামবিদ্বেষী প্রশাসনের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন। বহু মুসলমান এটাকে ক্ষমার অযোগ্য ত্রুটি হিসেবে বিবেচনা করবেন। এটা তারা সহজেই ভুলে যাবেন না।

আজামি বলেন, ৯/১১ পরবর্তী সময়ের মর্মান্তিক ঘটনাবলীর প্রেক্ষাপটে বুশ প্রশাসনকে দেয়া তার পরামর্শের চেয়েও এটা আরও বেশি ন্যাক্কারজনক। তখন মুসলমানরা রিপাবলিকানদের ভোট দিয়েছিলেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/জুলাই ১০,২০১৯)