দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: বড় দলগুলোর চরিত্রই এমন। কঠিন বিপদের মুখে কেউ না কেউ দাঁড়িয়ে যাবেই। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তেমনি দলের কঠিন বিপদের সময় ত্রাণকর্তা হিসেবে দাঁড়িয়ে গেলেন স্টিভেন স্মিথ এবং অ্যালেক্স ক্যারে।

১৪ রানে যেখানে ৩ উইকেট নেই, সেখানে অস্ট্রেলিয়ার শেষটাই আজ দেখে ফেলেছিল সবাই। ম্যাচ শেষে পরিস্থিতি কি দাঁড়ায়, সেটা এখনই বলা না গেলেও, অস্ট্রেলিয়া যে এমনি এমনিই ম্যাচটা ছেড়ে দেবে না, তা বুঝিয়ে দিচ্ছেন স্মিথ-ক্যারে। দু’জনের ব্যাটে ইতোমধ্যেই ১০০ পার করে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া। রান তোলার গড়টাও রেখেছেন তারা একটা সহসনীয় পর্যায়ে।

এ রিপোর্ট লেখার সময় অস্ট্রেলিয়ার রান ২৫.১ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১০৫। ৬৬ বলে ৪৫ রান নিয়ে ব্যাট করছেন স্টিভেন স্মিথ এবং ৬২ বলে ৪২ রান নিয়ে ব্যাট করছেন অ্যালেক্স ক্যারে।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নামার পর অস্ট্রেলিয়ার যে অবস্থা হয়েছিল, তাতে মনে হচ্ছিল বুঝি এজবাস্টনে যেন ফিরে এলো ওল্ড ট্র্যাফোর্ড। পুরোপুরি ভারতের মতই অবস্থা দাঁড়িয়েছিলো অস্ট্রেলিয়ার। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ইংলিশ বোলারদের তোপের মুখে পড়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ৫ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। মাত্র ১০ রানেই ২টি এবং ১৪ রানে হারিয়ে বসে ৩টি উইকেট।

বার্মিংহ্যামের এজবাস্টনে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারোন ফিঞ্চ। কিন্তু ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ইংলিশ পেসারদের তোপের মুখে পড়েন তারা। প্রথম ওভার কোনোভাবে কাটিয়ে দিতে পারলেও দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই জোফরা আরচারকে ঠিক মত খেলতে পারেননি ফিঞ্চ।

এলবিডব্লিউর আবেদন উঠতেই আম্পায়ার আঙ্গুল তুলে দিলেন। কিন্তু সিদ্ধান্ত পছন্দ হয়নি ফিঞ্চের। তিনি রিভিউ চাইলেন। দেখা গেলো সত্যি সত্যিই এলবিডব্লিউ ছিলেন তিনি। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই বহাল থাকলো। কোনো রান না করেই ফিরে গেলেন ফিঞ্চ।

পরের ওভারেই ফিরে গেলেন চলতি বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা অসি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। ১১ বলে ৯ রান করেন তিনি। কিন্তু ক্রিস ওকসের দুর্দান্ত এক বাউন্সারে ব্যাটের কানায় লাগিয়ে প্রথম স্লিপে বেয়ারেস্টর হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ১০ রানেই পড়লো ৩ উইকেট।

এরপর আরও একটি উইকেট পড়তে পারতো। জোফরা আরচারের বলে স্মিথ পরাস্ত হলে আউটের আবেদন করে ইংল্যান্ড। কিন্তু আম্পায়ার তাতে আউট না দিলেও রিভিউ নেয় ইংলিশরা। কিন্তু আম্পায়ার্স কলই রেখে দেন টিভি আম্পায়ার ক্রিস গ্যাফানি।

স্মিথ আর হ্যান্ডসকম্ব মিলে চেষ্টা করেন একটা জুটি গড়ে বিপর্যয়কে সামাল দেয়ার। কিন্তু মাত্র ৪ রানের জুটি হলো। ইনিংসের সপ্তম ওভারের প্রথম বলেই ক্রিস ওকসের আঘাত। এবার তাকে খেলতে গিয়ে ব্যাটের ভেতরের কানায় লাগিয়ে বল ভেতরে টেনে আনেন হ্যান্ডসকম্ব এবং বোল্ড হয়ে যান। ১২ বলে ৪ রান করে আউট হলেন তিনি।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/জুলাই ১১,২০১৯)