দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: অনুসন্ধান চলাকালে ডিআইজি মিজানের কাছে তথ্য পাচার করেন দুদক পরিচালক এনামুল বাছির। হাইকোর্টকে এ কথা লিখিতভাবে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুপুরে দাখিল করা সেই রিপোর্টে বলা হয়, এই প্রতিবেদন সংস্থাটির ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে।

এনামুল বাছির সদ্য বরখাস্ত হওয়া দুদক পরিচালক। চাকরির খাতায় তার এই বরখাস্তের কারণ আসামির কাছ থেকে ঘুষ নেয়া। ঐ ঘটনায় অনুসন্ধান চললেও এবার তার বিরুদ্ধে নতুন এক অভিযোগ এসেছে।

চলতি বছর জানুয়ারিতে পরিচালক পদে প্রমোশন চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন দুদক পরিচালক বাছির। সবার অগোচরে করা সেই রিটে তাকে নিয়োগ না দেয়া পর্যন্ত ওই পদটি খালি রাখতে বলা হয়।

বৃহস্পতিবার সেই আদেশ বাতিল করে দেন হাইকোর্ট। এসময় দুদকের পক্ষে সংস্থাটির আইনজীবী আদালতে লিখিতভাবে জানান, মামলার অনুসন্ধানকালে ডিআইজি মিজানের কাছে তথ্য পাচার করে দুদকের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন এনামুল বাছির। এসময় আদালত জানতে চান, কবে নাগাদ শেষ হবে বাছিরের বিরুদ্ধে তদন্ত।

শুনানিতে এনামুল বাছিরের আইনজীবী দাবি করেন, ডিআইজি মিজানের সাথে ঘুষ লেনদেনের যে কথোপকথন তা বাছিরের নয়।

তবে একাধিক সূত্র বলছে, বাছিরে বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তার প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে দুদক। খুব শিগগিরই গ্রেপ্তার হতে পারেন তিনি।

এ সময়, কবে নাগাদ বাছিরের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ হবে, সেটিও জানতে চান হাইকোর্ট।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/জুলাই ১১,২০১৯)