দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করা এবং নৌকার বিরোধিতা করার অভিযোগ রয়েছে এমন সংসদ সদস্য মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রতি কঠোর হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। তবে ১৫ দিনের মধ্যে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাচ্ছেন তারা।

দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কাজ করেছেন নেতাদের তালিকা ইতিমধ্যে ৮ সাংগঠনিক বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা সভাপতির হাতে দিয়েছেন। এ তালিকায় ৬০ জনের মতো সংসদ সদস্য মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতার নাম রয়েছে।

শনিবার সকাল থেকেই অভিযুক্ত নেতাদের কাছে কারণ দর্শানোর নোটিশ পৌঁছে দেওয়ার হবে দলটির দপ্তর থেকে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর বৈঠক এবং কার্যনির্বাহী পরিষদের বৈঠক শেষে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে চ্যানেল আই অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা।

তারা বলছেন, যাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিষয়ে দল আগে যে কোন সময় থেকে কঠোর। আজকের বৈঠকে দলীয় সভাপতি অভিযুক্ত নেতাদের বরাবর দপ্তর থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। নোটিশগুলো নেতাদের কাছে পৌঁছানোর পর তারা কী জবাব দেন এর ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান জানান, ১৫ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য অভিযুক্ত নেতাদের বলা হয়েছে। তাদের জবাব পাওয়ার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

অভিযুক্তরা যদি সদুত্তর দিতে ব্যর্থ হন যারা সংসদ সদস্য রয়েছেন, তারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হবেন। এমনকি ওই সকল নেতাদের সাংগঠনিক পদও স্থগিত হতে পারে বলে জানাচ্ছে সূত্রগুলো।

বৈঠকে আওয়ামী লীগকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করার তাগাদা দিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন: তার জন্য সব থেকে বেশি প্রয়োজন সাংগঠনিকভাবে আমাদের দলকে যেমন শক্তিশালী করা, তেমনি জনমত সৃষ্টি করা। পাশাপাশি চিন্তা-চেতনাগুলিকে সমন্বয় করে প্রতি পদক্ষেপে দল যেন সুষ্ঠুভাবে পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে পারে। যাতে করে আওয়ামী লীগের চলার পথে যত বাধাই আসুক অতিক্রম করা সম্ভব হয়।

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/জুলাই ১২,২০১৯)