দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাট হাতে করেছিলেন ৭৩ রান। এরপর মার্টিন গাপটিলের ব্যাট আর কথা বলেনি। গত বিশ্বকাপে এক ম্যাচেই ২৩৭ রান করে যে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন, এবার যেন ঠিক তার উল্টোটা। পুরো টুর্নামেন্টে ১০ ইনিংস ব্যাট করে তিনি সংগ্রহ করেছেন মোটে ১৮৬ রান, গড়ে ২০.৬৬ করে।

এমন এক ব্যাটসম্যানকেই কি-না নিউজিল্যান্ড সুপার ওভারে ব্যাট করতে পাঠালো জিমি নিশামের সঙ্গে? সুপার ওভারে ছক্কা মেরে আর কয়েকটা ডাবল-সিঙ্গেল নিয়ে জয়ের একেবারে দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছিল নিউজিল্যান্ড। শেষ বলটা মোকাবিলা করলেন গাপটিল। অন্তিম মুহূর্তে আবারও ব্যর্থ। বিগ শট খেলতে পারলেন না। সিঙ্গেল নেয়ার রান ডাবল নিতে গিয়ে হলেন রানআউট, বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়ে গেলো ইংল্যান্ড।

শেষ মুহূর্তের ওই দৌড়টা মার্টিন গাপটিল সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে না পারাটাই কি দায়ী নিউজিল্যান্ডের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে না পারার জন্য? মূলতঃ গাপটিল দায়ী হলেন শেষ ওভারের চতুর্থ বলে ফিল্ডিং করতে গিয়ে যে বাজে থ্রো’টা করেছিলেন, তখনই বিশ্বকাপ থেকে নিজেদের ছিটকে দিয়েছেন গাপটিল।

তখনও ৩ বলে ৯ রান দরকার ছিল ইংল্যান্ডের। স্টোকস ডিপ মিডউইকেটে ঠেলে দিয়ে এক রান নিলেন, দুই রান নেয়ার জন্য দৌড় দিলেন তিনি। এ সময় গাপটিল বল কুড়িয়ে রান আউটের জন্য যে থ্রো করেন, সেটার সঠিক গতিবেগ ছিল না। বল এসে লাগে স্টোকসের ব্যাটে এবং বলের গতি আরও পরিবর্তন হয়ে চলে গেলো বাউন্ডারির বাইরে। ছক্কা না মেরেও ৬ রান পেয়ে গেলো ইংল্যান্ড।

গাপটিল চেয়েছিলেন, সরাসরি থ্রো করে আউট করতে। কিন্তু সেটাই যে, শেষ পর্যন্ত কাল হয়ে দাঁড়াবে, কে ভাবতে পেরেছিল? ওই একট্রা বাউন্ডারিটা না হলে তো চার রানেই জিতে যেতে পারতো নিউজিল্যান্ড। সুপার ওভারও প্রয়োজন হতো না, শেষ মুহূর্তের ওই সাসপেন্সও তৈরি হতো না।

কিন্তু প্রবল চাপের মুখে ভেঙে পড়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারার খেসারতই দিতে হলো নিউজিল্যান্ড এবং গাপটিলকে। সরাসরি থ্রো না করে তিনি যদি কোনো ফিল্ডার কিংবা উইকেটরক্ষকের হাতেও বলটা দিতেন, তাহলে ওই এক্সট্রা বাউন্ডারিটি হয় না। অথচ, ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস, এমন এক কঠিন সময়ে হয়ে গেলো অতিরিক্ত বাউন্ডারি। তাও আবার পুরো বিশ্বকাপে অফ ফর্মে থাকা গাপটিলের হাত ধরে। যার কারণে বিশ্বকাপই হাতছাড়া হয়ে গেলো নিউজিল্যান্ডের!

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/জুলাই ১৫,২০১৯)