দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তার রংপুরে নিজ বাসভবন পল্লী নিবাসের বহুতল ভবনটি দেখে যেতে পারলেন না।

ভবনটির কাজ প্রায় শেষের দিকে। রংপুরে এলেই তিনি পল্লী নিবাসে থাকতেন। নিজের রুচি ও পরিকল্পনা মতো নতুন বহুতল ভবন করেছিলেন সাবেক এ রাষ্ট্রপতি।

রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির প্রচার সম্পাদক মমিনুল ইসলাম রিপন জানান, গত ২৮ জুন বাড়ির নির্মাণকাজ দেখতে রংপুরে আসার কথা ছিল এরশাদের। নির্মাণাধীন বাড়িতে এবার ওঠার কথাও ছিল তার। দুই রাত অবস্থান শেষে ৩০ জুন তার ঢাকায় ফেরার সূচিও চূড়ান্ত করা হয়। কিন্তু অসুস্থতার কারণে এরশাদ রংপুরে আসতে পারেননি। অন্তত বাড়িটি দেখার জন্য হেলিকপ্টারে করেও তার আসার কথা ছিল। সর্বশেষ গত ৩ মার্চ রংপুর সফরে এসেছিলেন এরশাদ।

তিনি জানান, রংপুরের দর্শনা এলাকায় অবস্থিত এরশাদের ব্যক্তিগত আবাস পল্লী নিবাস। এটি সংস্কার করে তিনতলা ভবন তৈরি করা হচ্ছে। এতদিন বাউন্ডারির মধ্যে আলাদা আলাদা ভবন ছিল। এরশাদ থাকতেন দ্বিতল ভবনে।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিরোধীদলীয় নেতা রংপুরের ‘ছাওয়ালখ্যাত’ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ মৃত্যুতে শোকাহত রংপুরবাসী। রোববার সিএমএইচে চিকিৎসাধীন সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যাওয়া এই রাজনীতিবিদের মৃত্যুশোকে স্তব্ধ হয়ে গেছে জাপার দুর্গখ্যাত রংপুর।

জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক অঙ্গন ও বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নেমে আসে শোক। দলমত নির্বিশেষে সবার চোখ এখন অশ্রুসিক্ত।

দীর্ঘদিনের অভিভাবককে হারিয়ে আহাজারি থামাতে পারছেন না জাতীয় পার্টি দলের নেতাকর্মী থেকে সমর্থকরাও।

স্থানীয় সিনিয়র নেতাদের বলতে শোনা যায়, এরশাদের অনুপস্থিতিতে আমরা অভিভাবকহীন হয়ে পড়লাম। এ সময় নেতারা এরশাদকে রংপুরে সমাহিত করার জোর দাবি জানান।

তারা বলেন, এরশাদকে রংপুরেই সমাহিত করা হোক। তার শেষ ঠিকানা আমরা রংপুরেই চাই। দলের একজন নেতা এরশাদের সমাধিক্ষেত্র তৈরির জন্য রংপুরে দুই একর জমি দিতে চান বলে জানান।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/জুলাই ১৫,২০১৯)