দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: এইচএসিস ও সমমানের পরীক্ষায় এবার ৯০৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে। আর একজনও পাস করেনি, এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৪১টি। শতভাগ পাসের হার গত বছরের তুলনায় এবার বেশি। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৪০০টি। এছাড়া শূন্য পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমেছে। গতবার ছিল ৫৫টি।

এর আগে সকাল ১০টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলাফলের অনুলিপি হস্তান্তর করা হয়। এবার ১০টি শিক্ষাবোর্ডে সার্বিক পাসের হার ৭৩.৯৩ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৭ হাজার ২৮৬ জন।

আটটি সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরিসহ ১০টি শিক্ষাবোর্ড থেকে এ বছর ১৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬২৯ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে ৯ লাখ ৮৮ হাজার ১৭২ জন। ৮টি সাধারণ বোর্ডে পাসের পার ৭১.৮৫ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪১ হাজার ৮০৭ জন। মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৮৮.৫৬ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে দুই হাজার ২৪৩ জন। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮২.৬২ শতাংশ এবং জিপিএ ৫ পেয়েছে তিন হাজার ২৩৬ জন।

২০১৭ সালে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় শতভাগ পাস ছিল ৫৩২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। এ বছর ১৩২টি প্রতিষ্ঠান কমে শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৪০০-তে দাঁড়িয়েছে।

শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের www.dhakaeducationboard.gov.bd এবং www.educationboard.gov.bd ওয়েবসাইটের রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে প্রতিষ্ঠানের EIIN এন্ট্রি করে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ই-মেইলে কেন্দ্র বা প্রতিষ্ঠানের রেজাল্ট শিটের সফট কপি পাঠানো হবে। বোর্ড থেকে ফলের হার্ডকপি সরবরাহ করা হবে না। পরীক্ষার্থীরা নিজেদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়াও শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট (http://www.educationboard.gov.bd) থেকে ফল জানতে পারবে।

গত ১ এপ্রিল থেকে এএইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হয় মে মাসের মাঝামাঝি। এবার মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৩০৯ জন। এর মধ্যে আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের ১১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৫০ জন, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে ৭৮ হাজার ৪৫১ জন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ১ লাখ ২৪ হাজার ২৬৫ জন। মোট ২ হাজার ৫৮০টি কেন্দ্রে শিক্ষার্থীরা এবার পরীক্ষা দিয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/জুলাই ১,২০১৯)