দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে ভারত। এর পরই রবি শাস্ত্রীর পরিবর্তে সৌরভ গাঙ্গুলির দলটির কোচ হওয়ার গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) কানেও বিষয়টি পৌঁছে ছিল। অবশেষে তা নিয়ে কথা বলল তারা।

বিসিসিআই পরিষ্কার জানিয়ে দিল- কোচ হওয়া তো দূরের কথা, সেই পদে আবেদনই করতে পারবেন না সৌরভ। গেলবার কোচ হওয়ার দৌড়ে শাস্ত্রীর প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বীরেন্দ্র সেবাগ। তিনিও পারবেন না কোচের পদে দরখাস্ত করতে। এমনকি ইচ্ছা প্রকাশ করলেও বিরাট কোহলিদের কোচ হতে আবেদন করতে পারবেন না কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার।

শোনা যাচ্ছে, টিম ইন্ডিয়ার কোচ থাকছেন শাস্ত্রীই। তার পথের কাঁটা দূর করতে আগেই প্রতিযোগিতা থেকে শচীন, সৌরভ, লক্ষ্মণ, শেবাগদের সরিয়ে দিয়েছে ভারতীয় বোর্ড। এমনকি ফিরতে চাইলেও নব প্রবর্তিত নিয়মের ঘেরাটোপে আটকে যাবেন অনিল কুম্বলে।

সর্বোপরি কোচ হওয়ার জন্য বিসিসিআই যে যোগ্যতামান নির্ধারণ করেছে, তা পূরণ করতে পারবেন না সৌরভরা। শুধু রাহুল দ্রাবিড় চাইলে জোর টক্কর দিতে পারেন শাস্ত্রীকে।

ভারতের কোচ হওয়ার প্রথম শর্ত হচ্ছে- আইসিসির পূর্ণ সদস্য তথা কোনো টেস্ট খেলুড়ে দলকে অন্তত দুই বছর কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এ ছাড়া তিন বছর আইপিএল বা ঘরোয়া কোনো দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করতে হবে। সঙ্গে ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা ও বয়ঃসীমাও ধার্য করেছে বিসিসিআই।

৩০ টেস্ট কিংবা ৫০ ওয়ানডে খেলার যোগ্যতা এবং ৬০ বছরের কম বয়ঃসীমায় আটকাচ্ছেন না সৌরভরা। তবে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতায় লড়াই থেকে ছিটকে যাচ্ছেন তারা। শচীন, সৌরভ, শেবাগদের কেউই কোনো দেশের জাতীয় দলের প্রধান কোচ হননি। শেবাগ আইপিএলে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের প্রধান কোচ হলেও তিন বছরের সময়সীমার শর্তপূরণ করতে পারবেন না। সৌরভ ও শচীনের অভিজ্ঞতা রয়েছে আইপিএলে পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করার। তবে দুজনের কেউই কখনও প্রধান কোচ হননি।

অতীতে মেন ইন ব্লুদের কোচিং করালেও কুম্বলের মেয়াদ ছিল এক বছর। সুতরাং বিদেশি কাউকে কোচ করতে না চাইলে শাস্ত্রীর পুনরায় হট সিটে বসার রাস্তা ফাঁকা। এর আগে ভারতীয় লেগস্পিনারকে সরিয়েই (২০১৭ সালের ১৩ জুলাই) ভারতের কোচ হন তিনি। এর পর থেকেই নেটিজেনদের বড় একটা অংশের চক্ষুশূল শাস্ত্রী। এ সময়ে তার বিতর্কিত কথাবার্তা ও আচরণ নিয়েও রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তারা।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/জুলাই ১,২০১৯)