দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে দেশের সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়ে অভিযোগ করা প্রিয়া সাহাকে আত্মসমর্থনে সুযোগ দিতে চায় সরকার। তিনি বলেন, ‘তার আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ থাকা উচিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এই মনোভাব পোষণ করছেন। তার আত্মপক্ষ সমর্থনের আগে মামলা করা যাবে না।’

রবিবার (২১ জুলাই) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা মেট্রোরেল নেটওয়ার্কের সময়বদ্ধ পরিকল্পনার ব্র্যান্ডিং বিষয়ক সেমিনার এবং লাইসেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত রাতে (২০ জুলাই) আমাকে একটা মেসেজ পাঠিয়েছেন, সেটা হচ্ছে−তড়িঘড়ি করে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন নেই। প্রিয়া সাহা যা বলেছেন, তিনি আসলে কী বলেছেন, কী বলতে চেয়েছেন, তার একটা পাবলিক স্টেটমেন্ট করা উচিত। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ থাকা উচিত। তার আগে কোনও লিগ্যাল প্রসেডিংস, কোনও ধরনের মামলা শুরু না করতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর একটা মামলা করার কথা ছিল। মামলার প্রসেডিংস শুরু না করতে আমি তাকে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা পৌঁছে দিয়েছি।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আইনমন্ত্রীর সঙ্গেও আমার এ ব্যাপারে কথা হয়েছে। প্রিয়া সাহার ব্যক্তিগত বাড়িঘর যাতে প্রোটেক্টিভ থাকে, সে বিষয়ে স্টেপ নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রীর মেসেজ আমি জানিয়েছি।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সরকারের অনুমতি ছাড়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করা যাবে না।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আপনারা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য শুনেছেন। প্রধানমন্ত্রীকেও আমি তার বক্তব্য জানিয়েছি।’

কাদের বলেন, ‘প্রিয়া সাহার বক্তব্য বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। এ বক্তব্যে কমিউন্যাল কমোশনেরও (সাম্প্রদায়িক তোলপাড়) একটা বিষয় আছে, ভেরি সেনসেটিভ ইস্যু। দেশের বাইরে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে এ ধরনের বক্তব্য তিনি কেন দিয়েছেন, সেটা দেশে ফিরে এলেই বোঝা যাবে। প্রিয়া সাহা যে অভিযোগ করেছেন, সে প্রসঙ্গে তার বক্তব্যটা আমাদের জানা দরকার, জাতির জানা দরকার। তার আগে কোনও ধরনের স্টেপ নিতে যাবো না।’

বর্তমান প্রেক্ষাপটে প্রিয়া সাহার দেশে আসার পরিবেশ আছে কিনা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশে আসবে না কেন? এখানে আমি হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের রানা দাস গুপ্তের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনিও বলেছেন, এই বক্তব্য প্রিয়া সাহার ব্যক্তিগত। এর সঙ্গে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কোনও সম্পর্ক নেই। দেশে আসার অধিকার তার আছে। তার দেশে আসায় আমরা কোনও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবো না।’

প্রিয়া সাহা দেশে না এলে সরকারের পক্ষ থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি স্বতঃস্ফূর্তভাবে দেশে আসতে পারেন।’

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/জুলাই ২১,২০১৯)