দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: নদীপথে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা, খোরাকি ভাতা ফ্রি করা, কথায় কথায় শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ, নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি বন্ধসহ ১১ দফা দাবি আদায়ে সারাদেশে একযোগে নৌ ধর্মঘট চলছে।

মঙ্গলবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়ায় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাহাজি শ্রমিক ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের জেলা শাখার মানববন্ধন থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য লাগাতার কর্মবিরতিতে নামছেন নৌযান শ্রমিকরা।

বাংলাদেশ নৌশ্রমিক ফেডারেশনের ডাকে শ্রমিকদের এ কর্মসূচি দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের বরিশালের সভাপতি হাশেম আলী।

তিনি আরও জানান, এর আগে ১৫ এপ্রিল ১৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে নৌ ধর্মঘট ডাকা হলে ৪৫ দিনের মধ্যে দাবি পূরণের আশ্বাস দেয়া হয়েছিল।

কিন্তু পরবর্তী সময়ে তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। তাই ফের ১১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ধর্মঘট ডাকা হয়েছে বলে তিনি জানান।

বুধবার সকালে বরিশাল নদীবন্দর থেকে অভ্যন্তরীণ বা দূরপাল্লার রুটের কোনো নৌযান ছেড়ে যায়নি বলে জানিয়েছেন শ্রমিক নেতা হাশেম আলী। এদিকে নৌ ধর্মঘটের ফলে যাত্রীদের ব্যাপক ভোগান্তি লক্ষ্য করা গেছে বরিশাল নদীবন্দরে।

ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহ আলম বলেন, গত ২০ জুলাই সভা করে ২৩ জুলাই রাত ১২টা থেকে সারাদেশে অবিরাম শ্রমিক ধর্মঘট করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এর পেছনের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, গত ১৫ এপ্রিল ১৫ দফা আদায়ে ধর্মঘট শুরু হয়েছিল। ধর্মঘটের প্রথম দিন শ্রমিক অধিদফতর, মালিক ও শ্রমিক পক্ষ ত্রিপক্ষীয় বৈঠক করে দাবিগুলো বাস্তবায়নে ৪৫ দিনের সময় নেয় নৌযান মালিকপক্ষ।

‘তাদের আশ্বাসে ওই দিন ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়। কিন্ত এ পর্যন্ত একটি দাবিও বাস্তবায়ন করেননি মালিকরা। তাই ফের ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, গত ২০ জুলাই ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত হয়। এ কথা জানার পরও এই তিন দিনে মালিকপক্ষ থেকে কোনোরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এ পর্যন্ত শ্রম অধিদফতর ও নৌযান মালিক সংগঠন সমঝোতার কোনো উদ্যোগও নেয়নি। এ কারণে শ্রমিকরা ধর্মঘটের ডাক দিতে বাধ্য হয়েছেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/জুলাই ২,২০১৯)