দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : মাশরাফী আর সাকিব ছাড়া বিশ্বকাপের দলটাই খেলতে গেছে শ্রীলঙ্কায়। তাতেই এই দশা! শেষ পর্যন্ত ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হতে হয়েছে বাংলাদেশকে।

তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন নখ-দন্তহীন একদল বাঘেদের দেখা গেল প্রেমাদাসায়। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং কোনো বিভাগেই জ্বলে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে দারুণভাবে ব্যর্থ হয়েছেন তামিম ইকবাল।

গোটা সিরিজে একজন মুশফিক ছাড়া বাকিদের ব্যাটে ছিল না ধারাবাহিকতা। সব মিলে হোয়াইটওয়াশের ক্ষত নিয়ে ফিরতে হবে দেশে।

তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে প্রথম ম্যাচে ৯১ রানে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ। আজ মান বাঁচানোর লড়াইয়ে নেমে এখানেও ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ।

প্রেমাদাসায় টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৯৪ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা।

এঞ্জেলো ম্যাথুসের ব্যাটে আসে সর্বোচ্চ ৮৭ রান। এছাড়া কুশল মেন্ডিসের ৫৪, দ্বীমুথ করুণারত্নের ৪৬ আর কুশল পেরেরা করেন ৪২ রান।

তিন বছর পর ওয়ানডে দলে ডাক পাওয়া শফিউল ইসলাম ছাড়া নিয়মিত বোলাররা হতাশই করেছেন। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৩ উইকেট নেয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে উইকেট শূন্য থাকলেও শেষ ম্যাচে তুলে নেন আবারও ৩ উইকেট।

রুবেল, তাইজুল, মিরাজদের ব্যর্থতার দিনে জ্বলে উঠেছিলেন সৌম্য সরকার। একজন অনিয়মিত বোলারের নিয়মিতদের মতো আচরণ বলা চলে। সৌম্যও নেন ৩ উইকেট।

লঙ্কানদের দেয়া ২৯৪ রান তাড়া করতে নেমে তামিম আজও ব্যর্থতার পরিচয় দেন। শেষ ওয়ানডেতে সৌম্য সরকারের বদলে এনামুল হক বিজয়কে নিয়ে ইনিংস শুরু করতে আসেন তামিম।

তবে ছয় বলের বেশি খেলতে পারলেন না দেশসেরা এই ওপেনার। আজ অবশ্য বোল্ড আউটের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে হয়েছেন ক্যাচ আউট। করেন মাত্র ২ রান।

এদিকে বিজয় সুযোগ পেয়েও সেটা কাজে লাগাতে পারেননি ঠিকঠাক। ২৪ বলে ১৪ রান করেই ক্যাচ তুলে দেন কাসুন রাজিথার বলে।

গত দুই ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা মুশফিকুর রহিমের ব্যাটেও আজ রান খরা। ১৫ বলে ১০ রান করে তিনিও ক্যাচ তুলে বিদায় নেন ধাসুন সানাকার বলে।

দুই নম্বরে ব্যাট করতে নেমে সৌম্য সরকার একাই লড়ে গেছেন। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি অভিজ্ঞ মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ(৯), সাব্বির রহমান(৭), মোহাম্মদ মিঠুনরা(৪)।

৩১ ওভার ৫ বল পর্যন্ত নিজের ইনিংস টেনে নিয়ে যান সৌম্য। শেষ পর্যন্ত ধনঞ্জয়ার বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ৮৬ বলে ৬৯ রান করে।

তাতে শুধু সিরিজে টানা তৃতীয় হার নিশ্চিত হয়নি, নিশ্চিত হয়ে যায় হোয়াইটওয়াশও।

শেষদিকে তাইজুল ইসলামের অপরাজিত ৩৯, শফিউলের ১ আর রুবেল হোসেনের ২ রান হারের ব্যবধানটাই কমিয়েছে শুধু। শেষপর্যন্ত ৩৬ ওভারে ১৭২ রানে অল-আউট হয়ে ১২২ রানের ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা বরণ করে নেয় বাংলাদেশ।

লঙ্কানদের হয়ে ৩ উইকেট নেন ধাসুন শানাকা। ২টি করে উইকেট নেন কাসুন রাজিথা ও লাহিরু কুমারা। ১টি করে উইকেট নেন ধনঞ্জয়া ও ওয়াহিন্দু হাসারাঙ্গা।

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/আগস্ট ০১,২০১৯)