দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: সাবেক জেলার সোহেল রানার পর ডিআইজি-প্রিজন্স পার্থ গোপাল বণিক। এই দুই কর্মকর্তার নেতৃত্বে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার। বিশেষ সাক্ষাৎ, মাদক, ক্যান্টিন বাণিজ্যসহ নানাখাতে প্রতিদিন তাদের অবৈধ আয় ছিল অন্তত ৪০ লাখ লাখ টাকা। এরমধ্যে শুধু পার্থ বণিকের পকেটে যেত ১০ লাখ টাকার মতো। যার প্রমাণও পায় দুদক।

সিলেটে বদলি হওয়ার আগে প্রায় দুইবছর চট্টগ্রাম কারাগারের ডিআইজি ছিলেন ঢাকায় আটক পার্থ গোপাল বণিক। অভিযোগ, তিনি অবৈধ টাকা কামানোর ক্ষেত্র বানিয়েছিলেন এই কারাগারকে।

এই কারাগারে দর্শণার্থী সাক্ষাৎ, হাসপাতাল ও ওয়ার্ডে বন্দীদের বিশেষ সুবিধা দেয়া এবং ক্যান্টিনে অস্বাভাবিক দামে জিনিসপত্র বিক্রি নিয়ে জুলাই মাসে প্রতিবেদন প্রচার হয় গণমাধ্যমে ।

সম্প্রতি তিনদিন টানা তদন্ত চালিয়ে যার প্রমাণও পায় দুদক। তাতে সবকিছুতেই জড়িয়ে পার্থ বণিক। এরবাইরে কারাগারে মাদক বাণিজ্যের বড় নেটওয়ার্কও গড়ে তোলেন পার্থ বণিকসহ কারা কর্মকর্তাদের একটি চক্র।

এসব অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করতো দুটি পক্ষ। যার একটির নেতৃত্বে ছিলেন পার্থ বণিক, তার সাথে ছিলেন জেল সুপার প্রশান্ত বণিক। অন্যপক্ষের নেতৃত্ব দিতেন ইতোপূর্বে আটক জেলার সোহেল রানা। যাদের প্রতিদিন আয় ৪০ লাখ টাকার কাছাকাছি। এরমধ্যে পার্থ বণিকের পকেটে যেত অন্তত ১০ লাখ টাকা।

এমন দুর্নীতিকে ভয়াবহ বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি প্রতিরোধে কাজ করা এই আইনজীবী। পার্থ বণিকের কাছে পাওয়া ৮০ লাখ টাকার উৎসও চট্টগ্রাম কারাগার বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/আগস্ট ১,২০১৯)