দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: আইডিএলসি’র ২০১৯ সালের প্রথমার্ধের (জানুয়ারি-জুন) ফল প্রকাশ করেছে। আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেড সমন্বিতভাবে ২০১৯ সালের প্রথম ছয় মাসে ১০৫.১৩ কোটি টাকা কর পরবর্তী নীট মুনাফা অর্জন করেছে যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫.৪১% কম। আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের সিইও ও এমডি আরিফ খান প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে  এ কথা জানান।

আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের (স্বতন্ত্র) কর পরবর্তী নীট মুনাফা গত বছরের একই সময় হতে১৫.০৯% হারে বৃদ্ধি পেয়েছে যা মোট ৯১.৯২ কোটি টাকা।

একই সময় শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস ) ২.৭৯ টাকা যা গত বছর একই সময়ে ছিল ২.৯৫ টাকা। বুক ভ্যালু পার শেয়ার বেড়ে ৩৫.৪৬ টাকা হয়েছে যা গত বছর একই সময়ে ছিল ৩৩.৩৬ টাকা। ডিসেম্বর ২০১৮ থেকে ঋণ সম্পদ ৪.০২% বেড়ে ৮,৭৩১ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। ঋণ সম্পদের এই প্রবৃদ্ধির মূল নিয়ামক ছিল কনজ্যুমার পোর্টফোলিও যা গত ৬ মাসে ৮.৩৬% বৃদ্ধি পেয়ে কোম্পানির মোট ঋণ সম্পদের ৩৫.০৩% হয়েছে। সম্প্রতি কনজ্যুমার ডিভিশন মধ্যম এবং নিম্ন- মধ্যম আয়ের মানুষের বাড়ি নির্মাণে সহায়তার জন্য ’আইডিএলসি সবার জন্য বাড়ি’ স্কিম চালু করেছে। কোম্পানির মোট ঋণ সম্পদের ৪১.৮৮% অর্থাৎ সিংহভাগ এস এম ই লোন। এরপরই আছে
কর্পোরেট লোন যার পরিমাণ মোট ঋণ সম্পদের ২৩.০৯%। কোম্পানির এন পি এল (নন পারফর্মিংলোন ) ২.৫৮% হয়েছে যা গত বছর এই সময়ে ছিল ২.৩৬%।

কোম্পানির পুঁজিবাজারভিত্তিক সাবসিডিয়ারিগুলো ২০১৯ সালের প্রথমার্ধে আশানুরূপ ফলাফল অর্জন করতে পারেনি, মূলত উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ট্রেড ভলিউম কমে যাওয়া এবং বিনিয়োগের উপর যথেষ্ট আয় অর্জন করতে না পারার কারণে।

আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের সিইও ও এমডি আরিফ খান কোম্পানির বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করে বলেন, “যদিও কোম্পানির পুঁজিবাজারভিত্তিক সাবসিডিয়ারিজগুলোর নিম্নমুখী আয় গ্রুপের নীট মুনাফা কিছুটা কমিয়ে দিয়েছে, তা সত্ত্বেও আমাদের ঋণ কার্যক্রম থেকে শুধু আইডিএলসি ফাইনান্স লিমিটেড এর নীট মুনাফা ১৫% বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজারে ক্রমবর্ধমান আমানতের সুদের হার এবং তারল্য সংকট থাকা সত্ত্বেও আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের এই প্রবৃদ্ধি, বর্তমান বাজারে আমাদের সুদক্ষ কৌশল এবং দৃঢ়তার পরিচয় দেয়। যদিও পুঁজিবাজারের
প্রতিকূল পরিস্থিতি আমাদের বিনিয়োগ হতে আয় কিছুটা কমিয়ে দিয়েছে, আমাদের মনে রাখা উচিত যে
পুঁজিবাজারভিত্তিক সাবসিডিয়ারিজগুলো অতীতে আমাদের প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে। সুতরাং আমরা জানি পুঁজিবাজারের আয়ে সবসময় উত্থান-পতন থাকবেই, তবে তা স্বল্পমেয়াদী। আমরা সুনিশ্চিত যে ভবিষ্যতে আমরা আমাদের পুঁজিবাজারভিত্তিক বিনিয়োগ হতে আয়, গড় আয়ের চেয়ে বেশী করতে পারবো।

তিনি আরো বলেন, “আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসনই আমাদের সাফল্যের মূল কারন। এজন্যই আমরা বাজারে তারল্য সংকট থাকা সত্ত্বেও তুলনামুলক কম সুদের হারে ২৫৫ কোটি টাকা বন্ড মার্কেট থেকে তুলতে পেরেছি। এছাড়াও আমরা আমাদের নন-ব্যাঙ্কিং ডিপোজিট গত বছর ডিসেম্বর থেকে ১২.৭% বৃদ্ধি করতে পেরেছি, যা বর্তমানে ৬,১২০ কোটি টাকা। ভবিষ্যতে আমাদের পরিকল্পনা হচ্ছে ‘আইডিএলসি সবার জন্য বাড়ি’ এবং ছোট ব্যবসার ঋণ এর দিকে আরো মনযোগী হওয়া। এই পরিকল্পনার পিছনের কাজগুলো গত কয়েক বছর হতে চলে আসছে যাতে করে আমরা সঠিক পদ্ধতিতে এবং সঠিক ডিস্ট্রিবিউশন মডেল অনুযায়ী কাজ করতে পারি।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/আগস্ট ৩, ২০১৯)