দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: সাধারণ মানুষ ন্যায় বিচারের আশায় যাদের দিকে তাকিয়ে থাকেন তাঁদের কেউ যখন বিচারপ্রার্থী হয়ে সাধারণের কাতারে দাঁড়ান তখন অবাক হতেই হয়! হালে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মো. মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরীর একটি রিট অনেকের মাঝে কৌতুহল তৈরি করেছে। নিজের অধিকার ফিরে পেতে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এই বিচারপতি।

তাঁর নামে বরাদ্দ করা পাঁচ কাঠার প্লট বাতিলের নোটিশের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে রিট করেছেন।

রিটের শুনানি শেষে আদালত রাজউকের দেয়া প্লট বাতিলের নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন। পাঁচ মাসের স্থগিতাদেশে প্লটটি অন্য কারো নামে বরাদ্দ না দেয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

গত বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবির সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

একইসঙ্গে বিচারপতি মো. মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরীর নামে রেজিস্ট্রিকৃত প্লটের বিপরীতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় কিস্তির ১২ লাখ টাকা গ্রহণ করতে রাজউককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্লটটি বাতিল করে রাজউকের দেয়া গত ৯ জুলাইয়ের নোটিশ কেন অবৈধ ও কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় কিস্তির টাকা গ্রহণ করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়। চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে হবে। শনিবার সংশ্লিষ্ট কোর্ট সুত্রে আদেশের বিষয়টি জানা গেছে।

৯ জুলাই রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) বিচারপতি মো. মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরীর নামে বরাদ্দকৃত উত্তরা-১৫ নাম্বার সেক্টরের, দুই নাম্বার সড়কের, ৯ নাম্বার প্লটের বরাদ্দ বাতিল করে। প্লট বরাদ্দের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি মো. মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী নিজেই রিটটি দায়ের করেন। ২০০৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর তিনি প্লটটি বরাদ্দ পেয়েছিলেন।

বিচারপতি মো. মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি নিযুক্ত হন। পরে ২০০৫ সালের ২৭ আগস্ট তিনি স্থায়ী বিচারপতির শপথ নেন। বর্তমানে তিনি হাইকোর্টের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/আগস্ট ৩, ২০১৯)