দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : রাজধানীর কমলাপুর কোরবানির পশুর হাটে তোলা হয়েছে সাড়ে ৩০ মণ ওজনের ষাঁড়, বিক্রেতা তার নাম দিয়েছেন ‘বাহাদুর’। সঙ্গে আছে বিশাল দেহের ‘বাহুবলী’। তার ওজন সাড়ে ২৭ মণ।

হাটে আসা সব ক্রেতা ও বিক্রেতার নজর কাড়ছে ষাঁড় দুটি। ৩০ মণের ‘বাহাদুর’-এর দাম হাঁকা হচ্ছে ১৪ লাখ টাকা। আর সাড়ে ২৭ মণের ‘বাহুবলি’-এর দাম ১৩ লাখ। ষাড় দুটিকে আনা হয়েছে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের ‘এফ অ্যান্ড এফ এগ্রো ফার্ম’ থেকে।

প্রতিষ্ঠানটির মালিক ফিরোজ হাসান অনিক বলেন, ‘শুধুমাত্র কোরবানিতে বিক্রির উদ্দেশ্যে প্রায় পাঁচ বছর ধরে সন্তানের মতো করে তাদের লালন-পালন করেছি। আমার খামারের সবচেয়ে বড় এ দুটি গরু। বাহাদুরের ওজন ১ হাজার ২২০ কেজি আর বাহুবলীর ওজন ১ হাজার ৭০ কেজি। এর মধ্যে বাহাদুরের দাম ১৪ লাখ চাচ্ছি। আর সাড়ে ২৭ মণের ‘বাহুবলী’র দাম চাচ্ছি ১৩ লাখ।’

এফ অ্যান্ড এফ এগ্রো ফার্মের এই উদ্যোক্তা জানালেন, তার খামারের বয়স সাত বছর। এবার এই খামারটিতে ৪৭টি গরু কোরবানিতে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়। এর মধ্যে ৩৬টি খামারেই বিক্রি হয়ে গেছে। ঢাকায় বিক্রির জন্য আনা হয়েছে ৮ গরু ও ১টি সাদা মহিষ। খামারটিতে সর্বনিম্ন সাড়ে তিন লাখ থেকে সর্বোচ্চ ১৪ লাখ টাকায় গরু পাওয়া যাচ্ছে।

গরু দুটির জন্য এখন পর্যন্ত ক্রেতারা কত টাকা দাম বলেছেন-জানতে চাইলে ফিরোজ হাসান অনিক বলেন, বাহাদুরের দাম আমরা ১৪ লাখ টাকা চেয়েছি, এখন পর্যন্ত সাড়ে ৮ লাখ টাকা বলেছেন ক্রেতারা। তবে ১৩ লাখ টাকা হলে বিক্রি করব বলে প্রত্যাশা আছে, বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা। ‘বাহুবলী’র দাম চাওয়া হয়েছে ১৩ লাখ, ১২ লাখ হলে বিক্রি করে দেবেন বলে জানান তিনি।

এদিকে ‘বাহুবলী’ ও ‘বাহাদুর’কে দেখতে প্রতিদিনিই কমলাপুর হাটে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সের মানুষ। তাদের বেশ কয়েকজনকে গরুর সঙ্গে সেলফি তুলতেও দেখা গেছে। তারা বলছেন, বিশাল আকারের গরু দুটি অনেকটা হাতির মতো। এটাকে ‘স্মৃতি’ হিসেবে রাখার জন্য ছবি তুলে রাখছি। কারণ, কোরবানি হাট ছাড়া এত বড় গরু সচরাচর দেখা যায় না।


(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/আগস্ট ০৯,২০১৯)