স্বামীর কিডনি বিক্রি করে আদালতে স্ত্রী
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: স্বামীর কিডনি বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়ালেন এক স্ত্রী।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আলিপুর আদালতে মামলাটি এখন বিচারাধীন রয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানায়, শাশুড়িকে বাঁচাতে নিজের কিডনি দিয়েছিলেন উত্তম মাইতি নামের দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা।
পরে তিনি জানতে পারেন, শাশুড়ির কিডনি লাগবে এমন মিথ্যা কথা বলে তার কিডনি প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকায় বেচে দেন স্ত্রী।
মূলত শাশুড়ি কোনো কিডনি রোগী নন।
আদালতে স্ত্রীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগই আনলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা উত্তম মাইতি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানায়, উত্তম মাইতির সঙ্গে বিয়ে হয় একই এলাকার জুঁই সাহার।
২০১৪ সালে ওই দম্পতির যমজ মেয়ে হয়। ২০১৬ সালে জুঁই সাহার মা গীতা সাহা অসুস্থ হয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসকরা জানায় তার দুটি কিডনিই নষ্ট।
শাশুড়ির রক্তের গ্রুপের সঙ্গে মিলে যাওয়ায় জুঁই তার মাকে বাঁচাতে উত্তমকে কিডনি চেয়ে চাপ দিতে থাকে।
এক পর্যায়ে উত্তম তার একটি কিডনি শাশুড়িকে দান করেন।
আদালতে উত্তম মাইতির দাবি, আসলে তার শাশুড়ির কোনো কিডনিই নষ্ট হয়নি। জুই তার মায়ের নাম বলে অন্য এক নারীর কাছে সাড়ে ৩ লাখ টাকায় কিডনিটি বিক্রি করেছে।
বৃহস্পতিবার আদালতে তিনি বলেন, দুই মাস আগে জুঁইয়ের আলমারি থেকে একটি ফাইল খুঁজে পাই। সেখানে আমার ছবির নিচে নাম লেখা রয়েছে সাবির আহমেদ।
আর সেই সাবির অন্য এক নারীকে কিডনি দান করেছেন বলে ফাইলে লেখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সন্দেহ হলে ওই কিডনি যিনি কিনেছেন তার খোঁজ নিয়ে জানতে পারি আমার কিডনিই দেয়া হয়েছে তাকে। এরপর সব নথিপত্র খতিয়ে জানতে পারি আমার শাশুড়ির কিডনি আদৌ নষ্ট হয়নি। মা ও মেয়ে মিলে ছলনা করে আমার কিডনি অন্য কাউকে বিক্রি করে সে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
উত্তমের আইনজীবী অভিষেক হাজরা বলেন, ‘আমার মক্কেলের কাছে কিডনি দানের সব রকম নথিই রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে উত্তমের স্ত্রী এবং স্ত্রীর মায়ের কী ভূমিকা ছিল, সে সংক্রান্ত নথিও আমাদের হাতে এসেছে। আমরা বিচারকের কাছে সেসব পেশ করেছি।’
স্বামী এমন গুরুতর অভিযোগ প্রসঙ্গে জুঁই বলেন, ‘জোর করে কিডনি বিক্রি করা হয়নি তার। উত্তম নিজের ইচ্ছায় ওই কিডনি বিক্রি করেছে। আমার মা এ বিষয়ে সবটাই জানেন। আমি ওই কিডনি বিক্রি করিনি।’
আগামী সপ্তাহে এ মামলার শুনানি শুরু হবে বলে জানা গেছে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/আগস্ট ০৯, ২০১৯)