দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: 'আশির উপরে উঠলেই গরু ভালো পাওয়া যাবে'- এভাবেই বলছিলেন ব্যবসায়ী সাদিক তার বন্ধুকে। শনিবার সকাল থেকে রাজধানীর রামপুরা আফতাবনগর গরুর হাটে ঘুরছিলেন পছন্দের গরু কেনার জন্য। বেলা গড়িয়ে গেলেও তখন ভাগ্য মেলাতে পারেননি বলে জানান তিনি।

রামপুরা এলাকায় ফার্মেসি ব্যবসা করেন তিনি। এবারের কোরবানির জন্য ৬০ হাজার টাকা বাজেট করেছিলেন। তবে পছন্দের গরু কিনতে আশি হাজার টাকার ওপরে গুনতে হবে বলেন বন্ধুকে।

বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করা ফাহাদ বলছিলেন একই ধরনের কথা। বড় ভাইয়ের সঙ্গে গরু কিনতে এসেছেন হাটে। তিনি বলেন, আপনি যদি লাখ টাকার ওপরে গরু কিনেন তাহলে ভালো পাবেন। আর লাখ টাকার নিচে হলে দাম আগুনের মতো।

কথা হয় কুষ্টিয়ার ব্যবসায়ী আলীর সঙ্গে। তার সঙ্গেই গরুর দামদর করছিলেন ফাহাদরা। ওই গরু বিক্রেতা বলেন, মামা আমরা তো ২১ হাজার থেকে ২৩ হাজার টাকা মণ হিসেব করে এই গরু কিনে এনেছি। গরুটায় পৌনে তিন মণ গোশত হবে। আপনি সেই হিসেবে দাম বলেন।

ফাহাদ ওই গরুর দাম ৪৫ হাজার টাকা বলেছেন। তাতে কিছুটা বিরক্ত হয়ে বিক্রেতা বলেন, ও সব দামে হবে না মামা। আপনি যদি নেন তাহলে একদাম ৫৭ হাজার টাকা পড়বে।

গরুর হাটটি ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই প্রচুর ক্রেতার আগমন ঘটেছে। সেই সঙ্গে বিক্রিও হচ্ছে। তবে অনেকেই ঘুরে ঘুরে পছন্দের গরু কিনতে পারছেন না বলে অভিযোগ করছেন।

বিক্রেতাদেরও অভিযোগ, ক্রেতারা বিবেচনা করে দাম বলছেন না!

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/আগস্ট ১০, ২০১৯)