দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: আজ বাদে কাল ঈদ। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ি ফিরছেন লাখ লাখ মানুষ। শেষ মুহূর্তে ঘরমুখো মানুষের চাপে লণ্ডভণ্ড ট্রেন ও বাসের সিডিউল। সড়ক ও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছে।

শনিবার সবক’টি ট্রেন নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ১-১২ ঘণ্টা পর্যন্ত দেরিতে ছেড়েছে। অনেক বাস ছেড়েছে নির্ধারিত সময়ের ২৪ ঘণ্টা পর। এ দীর্ঘ সময় যাত্রীদের রেল স্টেশন, ট্রেন, বাস ও সড়কে আটকে থাকতে হচ্ছে। ফলে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

বিশেষ করে শিশু ও নারী যাত্রীরা বেশি কষ্ট পাচ্ছেন। দুর্ভোগ এড়াতে ট্রেনের অনেক যাত্রী আগাম টিকিট ফেরত দিচ্ছেন। রেল কর্তৃপক্ষ টিকিট ফেরত নেয়ার জন্য কমলাপুর স্টেশনে আলাদা বুথ নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন।

দীর্ঘ সময় পরপর ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলোর ভেতরে, ছাদে এমনকি হাতলে ঝুলেও ঝুঁকিপূর্ণভাবে যাত্রীদের গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। অপরদিকে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে যাতায়াতে সড়ক-মহাসড়কে যানজট থাকায় বাসেরও সিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। টাঙ্গাইল থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত দুই পাশের সড়কে যানজট তীব্র।

দুই থেকে আড়াই ঘণ্টার পথ পাড়ি দিতে লেগেছে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা। যানজটের কারণে বাস নির্দিষ্ট সময়ে ঢাকায় ঢুকতে না পারায় কোনো কোম্পানির গাড়ি ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত দেরিতে ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে। বাস ও ট্রেনের এমন সিডিউল বিপর্যয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।

এছাড়া ফেরিঘাটগুলো দক্ষিণাঞ্চলের সড়ক যাত্রীদের ভোগান্তির অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী রুটে ফেরি পারাপারে বিঘ্ন ঘটে। অপর ফেরি রুট পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে কয়েকশ’ গাড়ির জট তৈরি হয়।

যাত্রী ভোগান্তির কথা স্বীকার করলেও সড়কে যানজটের কোনো খবর পাননি বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শনিবার দুপুরে মহাখালী বাস টার্মিনালে পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলেছেন, আমার কাছে এখন পর্যন্ত যানজটের কোনো তথ্য নেই। যেটা হচ্ছে সেটা ধীরগতি। এ কারণে সময়মতো গাড়ি পৌঁছাতে পারছে না। যাত্রীরা টার্মিনালে বসে কষ্ট পাচ্ছেন।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির এক প্রেস ব্রিফিংয়ে দাবি করেছে, বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার কারণে উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন থেমে থেমে চলছে। পথে পথে পশুবাহী ট্রাক থামিয়ে পুলিশ ও বিভিন্ন সংগঠনের নামে চাঁদাবাজি চলছে। এসব কারণে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে কৃত্রিম যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ফেরিতে পার হতে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা লাগছে। দুর্ভোগ মাথায় করে প্রতিটি লঞ্চে ধারণক্ষমতার প্রায় তিন থেকে চার গুণ যাত্রী বহন ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।

রেলপথ : রাজশাহীগামী ট্রেন সিল্কসিটির যাত্রী হাবিবুর রহমান বলেন, দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে ট্রেন ছাড়ার সিডিউল রয়েছে। ওই ট্রেনে যেতে দুপুর ১টার দিকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কমলাপুরা রেলওয়ে স্টেশনে এসেছি। বিকাল ৫টার দিকে মোবাইলে এসএমএস করে জানতে পারলাম ট্রেনটি ৯ ঘণ্টা দেরিতে ছাড়বে।

তীব্র গরম ও মানুষের ভিড়ের মধ্যে ৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর এমন খরব পেয়ে খুবই বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ। এখন বাসের টিকিটও পাওয়া যাবে না। বাধ্য হয়ে আরও অন্তত ৯ ঘণ্টা টার্মিনালে বসে থাকতে হবে; এর চেয়ে অমানবিক আর কী হতে পারে।

জানা গেছে, ট্রেনের সিডিউল লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। নড়বড়ে রেলপথ ও ধারণক্ষমতার চেয়ে তিন-চার গুণ বেশি যাত্রী নিয়ে চলায় ট্রেনের গতি বেশ কম। এছাড়া শুক্রবার বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশে সুন্দরবন এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুতির ঘটনায় পশ্চিমাঞ্চলের রেলপথ বন্ধ ছিল প্রায় আড়াই ঘণ্টা।

বিলম্বে আসা একেকটি ট্রেন কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছতেই হুড়োহুড়ি করে যাত্রীদের উঠতে দেখা গেছে। জানালা দিয়েও লোকজন উঠছিলেন। ট্রেনের ইঞ্জিন, ছাদ ও দুই কোচের সংযোগস্থলেও ঘরমুখো মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উঠেন। কমলাপুর পৌঁছার আগেই এয়ারপোর্ট স্টেশন থেকেই যাত্রী উঠে আগাম জায়গা দখল করছে।

ফলে ট্রেনটি কমলাপুর পৌঁছার পর আগাম টিকিট কেটে রাখা অনেক যাত্রী ভিড়ের কারণে তার নির্ধারিত বগিতে উঠতে পারছেন না। উঠলেও নিজের সিট পর্যন্ত যেতে পারছেন না।

শনিবার রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত ট্রেন দেরিতে ছাড়ার কথা জানায়। সংস্থাটি জানায়, ৭৬৯নং ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি সাড়ে ৬ ঘণ্টা দেরিতে আনুমানিক দুপুর সাড়ে ১২টায় ছেড়ে যাবে। ৭২৬নং সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি ৫ ঘণ্টা, ৭৬৫নং নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ৮ ঘণ্টা, ৭৭১নং রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ৮ ঘণ্টা, লালমনিরহাট ঈদ স্পেশাল ট্রেনটি ১০ ঘণ্টা এবং পশ্চিমাঞ্চলগামী কয়েকটি ট্রেন সামান্য (১ ঘণ্টার কম) দেরিতে চলাচল করবে।

জানা গেছে, রাজশাহীগামী পদ্মা এক্সপ্রেস ঢাকা ছাড়ার কথা ছিল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায়। কিন্তু ছেড়েছে শনিবার সকাল ১০টায়। পঞ্চগড়ের ট্রেন একতা এক্সপ্রেস সকাল ১০টায় ছাড়ার কথা থাকলেও সেটি দুপুর ১২টার দিকে ছাড়ে।

সড়কপথ : সড়ক পথের ভোগান্তির কথা জানান কুড়িগ্রামের যাত্রী মো. হামিদুজ্জামান। তিনি বলেন, ১০ আগস্ট রাতে বাড়ি যাওয়ার জন্য অনেক কষ্ট করে হক এন্টারপ্রাইজ বাসের একটি টিকিট সংগ্রহ করেছিলাম। শনিবার আমাকে আসাদগেট বাস কাউন্টার থেকে জানানো হয়েছে, রাস্তায় যানজটের কারণে বাস ফিরতে পারছে না। শনিবার রাত ১০টার বাস রোববার রাত ১০টায় ছাড়বে। তিনি বলেন, রোববার রাতে রওনা হলে ঈদ পথেই করতে হবে ।

শনিবার রাজধানীর গাবতলী ও কল্যাণপুর বাস টার্মিনালে গিয়ে যাত্রীদের ভোগান্তির চিত্র দেখা যায়। এসব এলাকার বাস কাউন্টারগুলোয় তিল ধারণের জায়গা নেই। কাউন্টারের সামনে ফুটপাত আর সড়কে অপেক্ষা করছেন যাত্রীরা। সেখানে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন নারী ও শিশুরা।

ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাসের অপেক্ষায় থেকে কষ্ট পেলেও আপনজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেয়ার আকাক্সক্ষা সব কষ্ট ভুলিয়ে দিচ্ছে বলেও জানান তারা।

যাত্রীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, গ্রামীণ পরিবহনের একটি বাস বেলা সাড়ে ১১টায় ছেড়ে গেছে। অথচ ওই বাসটি শুক্রবার রাত পৌনে ১২টায় ছাড়ার সময় নির্ধারিত ছিল। গাড়ির যাত্রী সিয়াম হোসেন বলেন, সারা রাত বাস কাউন্টারে বসে থাকতে থাকতে মায়ের পা ফুলে গেছে।

পথে কত ঘণ্টা বসে থাকতে হবে তার হিসাব নেই। হানিফ পরিবহনের যাত্রী সাহাবুদ্দিন মজুমদার জানালেন, সকাল ৮টায় বাস ছাড়ার কথা। কিন্তু দুপুর ১২টায় বাসই আসেনি। টিকিট আগে কাটা, তাই ফেরত দেয়ার উপায়ও নেই। আবার ফেরত দিলে অন্য গাড়ি পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।

তাই অপেক্ষা করা ছাড়া উপায়ও নেই। গাইবান্ধা যেতে আল হামরা পরিবহনে শনিবার সকাল ১০টার টিকিট নিয়েছিলেন যাত্রী মোস্তাফিজ। তিনি বলেন, ওই বাস শনিবার গাইবান্ধার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। সেটি ঢাকা আসার পর তাকে নিয়ে গাইবান্ধার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।

উত্তরবঙ্গগামী শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার নুরুল আমিন জানান, সকাল সাড়ে ৭টা, ৯টা ও ১০টার বাস ঢাকায় এসে পৌঁছায়নি। যমুনা সেতুর দুই পাড়েই জ্যাম রয়েছে। তাই গাড়ি আসতে পারছে না। এছাড়া ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কেও জ্যাম আছে।

গাড়ি দেরিতে ছাড়ার বিষয়ে হানিফ পরিবহনের এক কর্মকর্তা বলেন, সড়কের বিভিন্ন জায়গা ভাঙাচোরার কারণে গাড়ির গতি কম। ওইসব সড়কে পশুবাহী ট্রাক খুব ধীরগতিতে চলে। এছাড়া পশুবাহী গাড়ি থেকে চাঁদাবাজি হচ্ছে।

এ কারণেও তৈরি হচ্ছে যানজট। তিনি জানান, কয়েকটি স্থানে উল্টো দিক থেকে গাড়ি ঢুকিয়ে দেয়ার কারণেও যানজট হচ্ছে। ফেরির কারণে দক্ষিণাঞ্চলের গাড়ি ছাড়তে দেরি হচ্ছে বলে জানান সাকুরা পরিবহনের ব্যবস্থাপক রাজু।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে ফেরি ঠিকমতো চলাচল করতে পারছে না। নদীতে প্রচণ্ড স্রোতের কারণে ফেরি চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। আরিচার ওপারে আট থেকে নয় কিলোমিটার যানজট তৈরি হয়েছে। এ কারণে ওদিক থেকে গাড়ি আসতে সময় লাগছে।

নৌপথ : কোরবানি ঈদের ২ দিন আগে শনিবার সদরঘাটে যাত্রীচাপ ছিল চোখে পড়ার মতো। শনিবার সকাল থেকে যাত্রীরা সদরঘাটে আসতে থাকেন। সকালে চাপ কম থাকলেও বিকালের দিকে যাত্রী চাপ বেড়ে যায়। লঞ্চ মালিকরা বলছেন, কোরবানির ঈদে চাপ এমনিতেই কিছুটা কম থাকে।

এদিকে সদরঘাট পরিদর্শন করতে যান নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি সুশৃঙ্খলভাবে যাত্রী পারাপারে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।

ঢাকা নদী বন্দরে (সদরঘাট) কর্মরত বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের যুগ্ম পরিচালক মো. আলমগীর কবীর বলেন, সদরঘাটে যাত্রীচাপ আছে। লঞ্চগুলো যাত্রীতে ভরে গেলে নির্ধারিত সময়ের আগেই ছাড়তে বাধ্য করা হচ্ছে। এছাড়া প্রায় সব রুটে লঞ্চের স্পেশাল সার্ভিসও চলাচল করছে।

আমাদের প্রতিনিধিরা জানান, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী রুটে ১৭টি ফেরি, সাড়ে ৪ শতাধিক স্পিডবোট ও ৮৮টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। ঘাটে ৫শ’র বেশি গাড়ির সিরিয়াল দেখা গেছে। অপরদিকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে ২০টি ফেরিতে যাত্রী ও গাড়ি পারাপার করা হয়। এ দুই ঘাটেও গাড়ির দীর্ঘ সিরিয়াল ছিল।

যানজটের তথ্য নেই, ধীরগতি আছে -ওবায়দুল কাদের : শনিবার মহাখালী বাস টার্মিনাল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আমার কাছে এখন পর্যন্ত যানজটের কোনো তথ্য নেই। যেটা হচ্ছে সেটা ধীরগতি।

এ কারণে সময়মতো গাড়ি পৌঁছাতে পারছে না। যাত্রীরা টার্মিনালে বসে কষ্ট পাচ্ছেন। যাত্রীদের ভোগান্তির বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ঈদযাত্রায় যে দুর্ভোগ সেটাকে দুর্ভোগ মনে করেন না। এটাকে তারা ঈদ আনন্দের অংশ হিসেবে মনে করেন। তবে, কিছুটা দুর্ভোগ যে নেই সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই।

রাস্তায় যানজটের খবরের বিষয়ে তিনি বলেন, ঢালাও মন্তব্য না করে স্পেসিফিক কোথায় কোথায় সমস্যা হচ্ছে সেটা আমাদের বুঝতে হবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যে সমস্যা ছিল, একদিকে ফোর লেনের রাস্তা থেকে টু লেনের ব্রিজে উঠতে হতো; আবার আরেক দিকে ৮ লেনের রাস্তা থেকে এসে টু লেনের ব্রিজে উঠতে হতো।

যার কারণে যানজট লেগেই থাকত। সে সমস্যা এখন আর নেই। উত্তর জনপদের দিকে যে সমস্যা সেটা রাস্তা নয়, সমস্যাটা হচ্ছে ঢাকা এলেঙ্গা মহাসড়ক থেকে চার লেইনের রাস্তার গাড়িগুলো যখন টু লেনে উঠে। তখনই সমস্যা সৃষ্টি হয়।

সড়ক, রেল, নৌ ও আকাশপথে নৈরাজ্য -যাত্রীকল্যাণ সমিতি : শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, সড়কপথে অব্যবস্থাপনায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হচ্ছে ঈদে ঘরমুখী মানুষদের।

ফিটনেসবিহীন ট্রাকে পশু বহন, ফিটনেসবিহীন বাসে যাত্রী পরিবহনে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে। রেলপথে টিকিট কালোবাজারি, ছাদে যাত্রী ও সিডিউল বিপর্যয়ের কারণে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে ঘরমুখী যাত্রীরা। নৌপথে চলছে লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়।

ফেরিঘাটগুলোয় বসে থাকতে হচ্ছে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা। আর আকাশপথে ৪ থেকে ৫ গুণ বাড়তি দামে টিকিট কিনতে হচ্ছে। অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করাসহ ১১টি সুপারিশ দেয় বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/আগস্ট ১১, ২০১৯)