ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরে পৃথক দু’টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে কমপক্ষে ২২ জন। আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।

প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটে বেলা সোয়া দুইটার দিকে ফরিদপুরের ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ধুলদি নামক স্থানে।

পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানায়, ঢাকা থেকে কমফোর্ট লাইনের যাত্রীবাহী একটি বাস গোপালগঞ্জ যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ধুলদি ব্রিজের কাছে বিপরিত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলকে চাপা দিয়ে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারায়।এ সময় সামনের এক ব্রিজের রেলিং ভেঙ্গে বাসটি নিচে পড়ে উল্টে যায়। এতে বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই বাসের ৫ যাত্রী নিহত হয়।দুর্ঘটনার পর স্থানীয় এলাকাবাসীর সহায়তায় ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ উদ্ধার অভিযান চালায়। আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে মারা যায় আরও ৩ জন।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বর্তমানে উদ্ধার কাজ চলছে।

হাসপাতালে ভর্তি আহত কয়েকজনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এখন পর্যন্ত নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

এদিকে, অপর দুর্ঘটনায় বেলা আড়াইটার দিকে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার তালমা মোড়ে লোকাল বাসের চাপায় মারা যায় তিনজন।

স্থানীয়রা জানান, ভাঙ্গা থেকে ছেড়ে আসা আরকে পরিবহনের একটি লোকাল বাস ঘটনাস্থলে একটি অটোরিকশা ও কয়েকজন পথচারীকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে মারা যায় অটোরিকশার যাত্রী রেশমা বেগম ও তার ছেলে রাজু। হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায় আবুল সিকদার নামের এক পথচারী।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/আগস্ট ২৪,২০১৯)