দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করে অঞ্চলটিকে দুই টুকরো করার মোদি সরকারের সিদ্ধান্তে এখনও উত্তপ্ত জম্মু-কাশ্মিরের জনপদ। নিরাপত্তা বাহিনীর প্রায় সাত লাখ সদস্য দিয়ে ঢেকে ফেলা হয়েছে পুরো উপত্যকা। চলছে ব্যাপক ধরপাকড়।

এমনকি নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত অন্তত একজনের পরিবারকে হুমকি দিয়ে বলা হয়েছে, হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সংবাদমাধ্যমকে জানালে মরদেহ নদীতে ফেলে দেওয়া হবে। কাশ্মিরের এমন পরিস্থিতির মধ্যেই শনিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘অর্ডার অব জায়েদ’ পেয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২৪ জুন শনিবার আবু ধাবিতে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে ভাই ডেকে মোদি-র গলায় সোনার মেডেলটি পরিয়ে দেন আমিরাতের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-র খবরে বলা হয়েছে, পারস্পরিক সম্পর্ক আরও বাড়াতে ভূমিকা রাখায় মোদিকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। ইতোপূর্বে যুক্তরাজ্যের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর মতো নেতারা এ সম্মাননায় ভূষিত হয়েছিলেন। তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন ভারতের প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত এপ্রিলেই মোদিকে এ সম্মাননা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল দেশটি।

আমিরাতের সর্বোচ্চ এ বেসামরিক সম্মাননার নামকরণ করা হয়েছে দেশটির দেশটির প্রথম প্রেসিডেন্ট শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের নামে। তার জন্মশতবর্ষে মোদিকে এ সম্মাননায় ভূষিত করা হলো। এর মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি ও সেখানে ব্যাপক ধরপাকড় সত্ত্বেও আমিরাতের কাছে ভারত ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা-ই সামনে এলো।

সম্মাননা গ্রহণের পর টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে মোদি বলেন, কিছুক্ষণ আগে অর্ডার অব জায়েদ সম্মাননা গ্রহণ করে ধন্য হয়েছি। কোনও একজন ব্যক্তি প্রতি নয়; ভারতীয় সাংস্কৃতিক চেতনা এবং ১৩০ কোটি ভারতীয় নাগরিক এই পুরস্কারের অংশীদার। এই সম্মাননার জন্য আমিরাত সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। সূত্র: আল জাজিরা, এনডিটিভি।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/আগস্ট ২৫,২০১৯)