চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: ৩৯৮ রানের টার্গেট। অতীতে কখনো এত রান তাড়া করে জেতেনি বাংলাদেশ। ফলে হারের শংকা ছিলই। সেখানে ব্যাট করতে নেমে ১২৫ রানেই ৬ উইকেট খুইয়ে সেই শংকায় জ্বালানি জোগান ব্যাটসম্যানরা।

তবে আশীর্বাদ হয়ে এসেছিল বৃষ্টি। যে কারণে চতুর্থ দিনের শেষবেলা খেলা হয়নি। পঞ্চম দিনের দুপুর গড়িয়েও গড়ায়নি। স্বভাবতই চাওয়া পূরণ করেছিল বৃষ্টি! বাকি একটু কাজ করতে হতো ব্যাটসম্যানদের। নির্বিঘ্নে কাটাতে হতো প্রায় ১৯ ওভার।

তবে আবারো সেই পুরনো দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি, হাঁটু কাঁপাকাপি।

সোমবারও বন্দরনগরীর আকাশ ভেঙে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে নির্ধারিত সময়ে পঞ্চম ও শেষ দিনের খেলা শুরু হয়নি। গোটা সকাল চলে যায় বৃষ্টির পেটে। অবশেষে দুপুর ১টায় গড়ায় খেলা। তবে ১৩ বল হতেই আবার হানা দেয় বৃষ্টি। এতে খেলা বন্ধ হয়ে যায়।

পরে দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে ৪টা ২০ মিনিটে ফের খেলা শুরু হয়। তবে মাঠে নেমেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। প্রথম বলেই কট বিহাইন্ড হয়ে ফেরেন অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসান। জহির খানের বল পিচ করে অফ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছিল। তাতে খোঁচা দিতে গিয়ে আউট হন তিনি। ফেরার আগে করেন ৪ চারে লড়াকু ৪৪ রান।

বৃষ্টির কারণেই নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হয় চতুর্থ দিনের খেলা। ফলে শেষ দিন প্রায় আধা ঘণ্টা আগে খেলা শুরু হওয়ার কথা ছিল। ৬ উইকেটে ১৩৬ রান নিয়ে দিন শেষ করেছিল বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান ৩৯ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে ছিলেন। সঙ্গে থাকা সৌম্য সরকার রানের খাতায় খুলতে পারেননি। তবে তারা নতুন দিনের শুরুতে খেলার গোড়াপত্তন করতে পারেননি।

নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ২৬০ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান। দলের হয়ে ৮৭ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন ইব্রাহিম জাদরান। ফলে ৩৯৭ রানের লিড পান সফরকারীরা। এতে একমাত্র টেস্টের নাটাই হাতে নেন তারা।

নিজেদের প্রথম ইনিংসে স্বপ্নের মতো ব্যাটিং করে আফগানিস্তান। রহমত শাহর ইতিহাস গড়া সেঞ্চুরিতে তোলে দলীয় সর্বোচ্চ ৩৪২ রান। জবাবে প্রথম ইনিংসে হতশ্রী পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে বাংলাদেশ। ২০৫ রানে গুটিয়ে যায় তারা।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/সেপ্টেম্বর ০৯,২০১৯)