চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে শেষদিনে বাংলাদেশকে ব্যাট করতে হতো অন্তত ৯৮ ওভার; কিন্তু দিনের লম্বা সময় ধরে বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাট করে দিল বৃষ্টি, যা কাজটাকে করে দেয় আরও সহজ। শেষতক বাংলাদেশের সামনে সমীকরণ দাঁড়ায়, ৪ উইকেট হাতে নিয়ে ১৮.৩ ওভার কিংবা ৭০ মিনিট ব্যাটিং করলেই পাওয়া যাবে ড্র।

কিন্তু কিসের কি! বাংলাদেশ অলআউট হয়ে গেলো ১৫.১ ওভারেই, আফগানরা পেলো ২২৪ রানের অবিস্মরণীয় এক জয়। সাকিব আল হাসান ও সৌম্য সরকারের মতো স্বীকৃত ব্যাটসম্যানরা থাকার পরও, শেষ বিকেলের ৭০ মিনিট টিকে থাকতে না পারা নিঃসন্দেহে ব্যর্থতারই পরিচয় দেয়।

যা মেনে নিয়েছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও। ব্যর্থতা না হয় মানা গেলো, ৭০ মিনিট ব্যাটিং করার পরিকল্পনা করা এবং সেটা মাঠে বাস্তবায়নের সামর্থ্যটাও কি নেই বাংলাদেশ দলের? কি মনে করছেন অধিনায়ক সাকিব?

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে উত্তর দিলেন তিনি। বললেন, ‘ফলাফল যদি দেখেন, আমি তো বলবো অবশ্যই নেই। যদি সেই সামর্থ্য থাকতো, তাহলে আমরা আরও ভালো কিছু দেখাতে পারতাম।’

এর পরপরই আবার মিরাজের বাজে রিভিউয়ের ব্যাপারে আক্ষেপ শোনা গেলো টাইগার অধিনায়কের কণ্ঠে। রশিদ খানের করা ইনিংসের ৫৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নিশ্চিত এক লেগ বিফোরের সিদ্ধান্তের বিপরীতে রিভিউ নিয়েছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। যা ছিলো বাংলাদেশের শেষ রিভিউ।

সঙ্গত কারণেই সে রিভিউটি হারায় বাংলাদেশ। রশিদের পরের ওভারেই তাইজুলের বিপক্ষে ভুল সিদ্ধান্ত দেন আম্পায়ার পল উইলসন। ব্যাটে লেগে প্যাডে লাগার পরও তাইজুলকে লেগ বিফোর আউট দেন তিনি; কিন্তু রিভিউ শেষ হওয়ায় তা নিতে পারেননি তাইজুল।

এ বিষয়ে ইঙ্গিত করে সাকিব বলেন, ‘আবার তাইজুলের আউটটা দেখেন, ব্যাটে লেগে প্যাডে লাগলো। কিন্তু মিরাজেরটা দেখেন! এটা যে একদিন ক্রিকেট খেলেছে তারও বুঝতে পারার কথা যে নিশ্চিত আউট ছিল। তো ও যদি রিভিউটা না নিতো এবং সেটা পরে তাইজুল নিতে পারতো। এটা আমাদের অনেক সাহায্য করতো। কারণ তাইজুল প্রথম ইনিংসে অনেকক্ষণ ব্যাটিং করেছিল, বেশ কিছু ভালো ডিফেন্সও করেছিল।’

তবে এমন ভুলভ্রান্তিগুলো ক্রিকেটে হয় বলেই জানিয়ে দেন সাকিব। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের ভুলভ্রান্তিগুলো আসলে হয়। কিংবা ধরেন, সৌম্য রানটা নিয়ে মাথায় হাত দিলো, তার মানে কোথাও ভুল ছিল, ও বুঝতে পারছে না যে ওর কাজটা কি। এখন এই জিনিসগুলো অনেক কিছু বোঝার আছে, অনেককিছু শেখার আছে। এখন কতদিন যে লাগবে শিখতে, এটাও একটা বড় ব্যাপার।’

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/সেপ্টেম্বর ০৯,২০১৯)