দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: চিত্রনায়িকা সাদিকা পারভিন পপি, ১০ সেপ্টেম্বর খুলনার শিববাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘কুলি’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে ১৯৯৭ সালে বাংলা চলচ্চিত্রের প্রিয়দর্শিনী এই নায়িকার আর্বিভাব ঘটে।

১৯৯৭ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘আমার ঘর আমার বেহেশত’ ছায়াছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে পা রাখেন পপি। কিন্তু তার প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র কুলি। চারিদিকে, ১৯৯৯ সালে মান্নার বিপরীতে কে আমার বাবা ও লাল বাদশা, ২০০২ সালে কমল সরকার পরিচালিত ক্ষেপা বাসু ও বাবুল রেজা পরিচালিত ওদের ধর ছায়াছবিগুলো ব্যবসাসফল হয়।

মান্না প্রযোজিত লাল বাদশা ছায়াছবি ব্যবসা সফল হয় ও তার অভিনয় জীবনে বড় পরিবর্তন নিয়ে আসে। ২০০৩ সালে অভিনয় করেন কালাম কায়সার পরিচালিত কারাগার ছায়াছবিতে। এতে এক টোকাই চরিত্রে অভিনয় করে প্রথম বারের মত শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।

নিজের জন্মদিনে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রনায়িকা সাদিকা পারভিন পপি বলেন, ‘আজকে আমার জন্মদিন, কিন্তু জন্মদিনে ভীষণ মিস করছি মান্না ভাইকে। জন্মদিনের শুরুতেই মান্না ভাই আমাকে ফোন দিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতো। মান্না ভাই মারা যাওয়ার পর থেকে জন্মদিনের প্রথম প্রহরে আমাকে কেউ আর ফোন করে বলে না, জন্মদিনে কী নিবি? এখন জন্মদিন আসলেই শুধু শুনতে ইচ্ছা করে মান্না ভাইয়ের দরদ মাখা সেই কন্ঠ। মান্না ভাই চলে যাওয়ার পর থেকে আমার জন্মদিনটা বিষণ্নতায় কেটে যাচ্ছে।’

পপি আরও বলেন, ‘জন্মদিন আসলে মনে পড়ে সেই পুরনো দিনের কথাগুলো। চলচ্চিত্রে একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে মান্না ভাইয়ের আপন বোনে পরিণত হয়েছিলাম। তিনি যেমন ভালোবাসা দিয়েছেন, তেমনি শাষণও করেছেন। প্রতিবছর আমার জন্মদিনেই মান্না ভাই সবার আগে শুভেচ্ছা জানাতো। আজ সেই স্মৃতিগুলো কেবল স্মৃতির পাতায় সীমাবদ্ধ রয়েছে। আমি চাই মান্না ভাই যেখানেই থাকুন ভালো থাকুন’।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/সেপ্টেম্বর ১০,২০১৯)