দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: গত জুন মাসে ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যে সরাইকেলা খারসাওন এলাকায় তবরেজ আনসারি নামে এক মুসলিম যুবককে পিটিয়ে খুন করা হয়েছিল।

এই ঘটনা চাঞ্চল্য ফেলে দিয়েছিল গোটা ভারত জুড়ে। এবার নতুন করে শোরগোল ফেলে দিলো তবরেজের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, পণপিটুনি নয়, হার্ট অ্যাটাকে মারা গিয়েছিলেন ২৪ বছরের ওই যুবক। আর সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই অভিযুক্তদের উপর থেকে খুনের অভিযোগ তুলে নেয়া হয়েছে।

আনন্দবাজার পত্রিকা এক প্রতিবেদনে জানায়, তবরেজকে গণপিটুনি দেয়ার ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর ভারতজুড়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। অভিযুক্তদের উপর থেকে হত্যার অভিযোগ সরিয়ে নেয়ার ঘটনা যেন চাপা পড়ে থাকা সেই বিতর্কের আগুন নতুন করে উস্কে দিলো।

বিষয়টি নিয়ে ঝাড়খণ্ডের পুলিশকর্তা কার্তিক এস বলেন, ‘‘মেডিক্যাল রিপোর্টে খুনের স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ মেলেনি। যার ফলে আমরা খুন কেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলাও চালাতে পারব না। খুনের মতো অনিচ্ছাকৃত খুনও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’’

ঝাড়খণ্ড পুলিশ সূত্রে খবর, দু’টি পৃথক ময়নাতদন্ত রিপোর্টেই একই জিনিস পাওয়া গেছে। কার্তিক আরো বলেন, ‘‘প্রথম বার ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর আমরা দ্বিতীয় বার আরো উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞদের থেকে মতামত নিই। তারাও সেই একই মত দিয়েছেন।’’

অথচ, তবরেজের পরিবারের অভিযোগ, পিটিয়ে তার মাথা থেঁতলে দেয়া হয়েছিল। অবশ্য পুলিশকর্তাদের দাবি, মেডিক্যাল রিপোর্ট অনুযায়ীই তারা ব্যবস্থা নিয়েছেন।

গত ১৮ জুন গণপিটুনির শিকার হন তবরেজ। কয়েক ঘণ্টা ধরে তাকে মারধর করা হয়। জোর করে জয় শ্রীরাম স্লোগান দেয়ানোর অভিযোগও ওঠে। সেই ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। ২২ জুন হাসপাতালে মারা যান তিনি। ওই কাণ্ডে প্রাথমিকভাবে ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে এক জন আত্মসমর্পণ করেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/সেপ্টেম্বর ১০,২০১৯)