জবি প্রতিনিধি: র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের হাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী মারধরের ঘটনায় ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক অবরোধ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

রোববার সকাল ৮টায় শিক্ষার্থীদের পরিবহনকারী বাসগুলো ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কস্থ রাইসাহেব বাজার মোড়ে পৌঁছালে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক ও গুলিস্তান-সদরঘাট রুটে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায় । তীব্র ভোগান্তিতে পরেন সদরঘাটগামী যাত্রীরা।

এরপর সকাল সাড়ে নয়টার সময় প্রক্টরের আশ্বাসে ক্যাম্পাসে ফিরে যায় শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসে ফিরে সকাল ১০টায় ক্যাম্পাসের ২য় গেট দখল করে। সেখানে অবৈধ লেগুনা ও মিনিবাস স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করে। এসময় বেশ কয়েকটা লেগুনা ও মিনিবাস ভাঙচুর করে তারা। এরপর দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা ২য় গেটটি তালা ভেঙে খুলে দেয়।

এরপর প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি র‌্যাবের হামলার বিচার অতিদ্রুত করতে হবে। সুষ্ঠু বিচার না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধের হুঁশিয়ারি দেন তারা।

এবিষয়ে জানতে চাইলে প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, ‘র‍্যাব দুপুর একটা পর্যন্ত সময় নিয়েছে। এর মাঝে তারা এসে ভিসি ও ছাত্র প্রতিনিধিদের সাথে বসে বিষয়টা সমাধান করবেন।’

এছাড়া লেগুনা ও মিনি বাস ভাঙচুর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে কোনো স্ট্যান্ড থাকবে না। পুলিশ প্রশাসনের সাথে কথা হয়েছে এক সপ্তাহের মধ্যে তা সরিয়ে দেয়া হবে। আজকে যারা ভাঙচুর করেছে তাদের বিরুদ্ধে সঠিক ব্যবস্থা নেয়া হয়ে। এরা গরিব মানুষ এ দিয়ে তারা তাদের পরিবার চালায়। এটা ভাঙচুর করার অধিকার তো কারো নাই। তাদের সময় দেয়া হয়েছে লেগুনা ও মিনি বাস স্ট্যান্ড সরিয়ে নেয়ার জন্য।’

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থী পরিবহনকারী উত্তরণ-২ বাসটি সায়েদাবাদ মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে পৌঁছানোর পর র‍্যাব ১০-এর একটি গাড়ি (ঢাকা মেট্রো চ-৫৩২২৩৭) ফ্লাইওভারে ওঠার মুখ বন্ধ করে আড়াআড়ি দাঁড়িয়েছিল। এ সময় শিক্ষার্থীরা গাড়িটি সরাতে বললে ওই গাড়ি থেকে কয়েকজন র‌্যাব সদস্য নেমে শিক্ষার্থীদের মারধর করে। এঘটনায় ৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন, ১ জনের অবস্থা গুরতর।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/সেপ্টেম্বর ১৫,২০১৯)