দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া (জি কে) শামীমকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) শামীমকে নিকেতনের ১১৩ নম্বর বাসা থেকে আটক করে নিকেতনে তার জি কে বিল্ডার্স অফিসে (১৪৪ নম্বর) নিয়ে অভিযান চালাচ্ছে র‌্যাব। শামীম একইসঙ্গে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি।

অভিযানে বিপুল পরিমাণ টাকা ও একটি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। দেড় কোটির বেশি নগদ টাকার গণনা করা সম্ভব হয়েছে। এ গণনা চলছে বলে জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. ক. সারোয়ার বিন কাশেম।

তিনি আরও জানান, সুনির্দিষ্ট টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে জি কে শামীমসহ আটজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে তার একাধিক দেহরক্ষী রয়েছে।

সারোয়ার বিন কাশেম জানান, শামীমের অফিস থেকে অনেক এফডিআর উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তা কত টাকা সমমূল্যের তা নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। তার কাছ থেকে একটি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এর কোনও বৈধতা আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া অভিযানে বিদেশি মদের বেশ কয়েকটি বোতল উদ্ধার করা হয়েছে।

র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের উপ-পরিচালক মেজর হুসাইন রইসুল আজম মনি জানান, জি কে শামীমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। সেগুলোর ভিত্তিতেই অভিযান চলছে।

অন্যদিকে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি মিজানুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, অভিযান চলছে। এখন পর্যন্ত কতজন আটক হয়েছে তা বলা যাচ্ছে না। অভিযান শেষে তা জানানো হবে।

র‌্যাব সূত্র জানায়, যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার স্বীকারোক্তিতে বিভিন্ন অবৈধ কাজের সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে জি কে শামীমের নামও উঠে এসেছে। এ তথ্যের ভিত্তিতেই তাকে আটক করে অভিযান চালানো হচ্ছে।

এরআগে, রাজধানীতে অবৈধ ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে গত বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গুলশানে তার নিজ বাসা থেকে আটক করে র‌্যাব। ফকিরাপুলের ইয়ংমেন্স ক্লাবে তার পরিচালিত অবৈধ ক্যাসিনোতেও অভিযান চালায় র‌্যাব।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/সেপ্টেম্বর ২০,২০১৯)