দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে কুমিল্লা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সম্রাটের গ্রেপ্তার নিয়ে দুই ধরনের তথ্য পাওয়া গেছে।

একটি সূত্র বলছে যে, সম্রাট পালিয়ে ভারতে যাচ্ছিলেন। তিনি ১৮ সেস্টেম্বর থেকে গোয়েন্দা নজরদারিতে ছিলেন। তার গতিবিধি অনুসরণ করা হচ্ছিল। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। বরং তিনি কাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং কার কার সঙ্গে কথা বলেন এসব তথ্য সংগ্রহ করার স্বার্থেই তাকে গোয়েন্দা জালে রেখে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছিল। যখন গোয়েন্দারা নিশ্চিত হন যে, সম্রাট পালিয়ে ভারতে যাচ্ছেন তখন তাকে কুমিল্লার চোদ্দগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার সহযোগী আরমানও আটক হন।

অন্য একটি সূত্র দাবি করছে যে, ২০ সেপ্টেম্বরেই সম্রাট গোয়েন্দাদের হাতে আটক হন। এরপর থেকে ক্যাসিনো কারবারের সাথে কারা কারা জড়িত, তাদের গডফাদার কারা ইত্যাদি সমস্ত তথ্য আদায়ের জন্যই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল। এ সমস্ত তথ্য যখন গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে এবং সম্রাট যখন তার সমস্ত অপকর্মের ফিরিস্তি ত্তাদের দিয়েছে, তখনই তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখানো হলো।

প্রসঙ্গত, কয়েকদিন ধরেই সম্রাটের গ্রেপ্তার নিয়ে নানারকম কথাবার্তা হচ্ছিল। গতকাল ধানমন্ডি এলাকার সাংসদ ও যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনির সন্তান শেখ ফজলে নূর তাপস সম্রাট গ্রেপ্তার না হওয়ায় উষ্মা প্রকাশ করেন। একই দিনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছিলেন যে, অপেক্ষা করুন, আপনারা শিগগিরই দেখবেন। সম্রাট হোক আর যেই হোক, অপরাধ করলে তাকে আমরা আইনের আওতায় আনব।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/অক্টোবর ০৬,২০১৯)