দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের আটক সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে কুমিল্লায় আটকের পর ঢাকায় আনা হয়েছে। বর্তমানে তিনি র‌্যাবের হেফাজতে আছেন। সেখানে তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হবে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

রোববার ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের পুঞ্জশ্রীপুর গ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহসভাপতি এনামুল হক আরমানকে আটক করা হয়। সেখানে মুনির চৌধুরী নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে সম্রাট লুকিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।

র‍্যাবের মুখপাত্র সারোয়ার বিন কাসেম সম্রাট ও আরমানের গ্রেফতারের খবর নিশ্চিত করেছেন। সুনির্দিষ্ট মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানায় র‍্যাব। তবে মামলার বিস্তারিত বলতে রাজি হননি র‍্যাবের এই কর্মকর্তা।

র‌্যাব সূত্র জানায়, সম্রাটের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং, ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ততা, চাঁদাবাজির অভিযোগে একাধিক মামলা হবে। মতিঝিল বা রমনা থানায় এসব মামলা করা হবে।

অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসায় ও চাঁদাবাজি মামলার জন্য সম্রাটকে ৭ থেকে ১০ দিন রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করা হবে।

১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীতে মাদক-ক্যাসিনো ও চাঁদাবাজিবিরোধী শুদ্ধি অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে সম্রাটের বেশ কয়েকজন ঘনিষ্ঠ সহচর গ্রেফতার হন। টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগের কারণে যুবলীগ নেতা সম্রাটের নাম আলোচনায় আসে। গ্রেফতার ব্যাক্তিরাও তার অপরাধের ভাগীদার হিসেবে সম্রাটের নাম বলেন। এরপর গা ঢাকা দেন সম্রাট। তিনি নজরদারিতে আছেন আইনশৃংখলা বাহিনী এমন দাবি করলেও সম্রাট ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। অবশেষ আজ আইনের জালে আটক হলেন ক্যাসিনো সম্রাট।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/অক্টোবর ০৬,২০১৯)