দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে হত্যা মামলায় ১৯ জনকে আসামি করা হলেও সেই তালিকায় নেই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক উপ-সম্পাদক ও প্রকৌশল বিভাগের ছাত্র অমিত সাহা। অথচ শুরু থেকেই আবরারকে হত্যায় অমিত সাহার নাম এসেছিল।

অমিত সাহার নাম আসামির তালিকায় না থাকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা সমালোচনা হচ্ছে। তবে ইচ্ছাকৃতভাবে বুয়েট শিক্ষার্থী অমিত সাহাকে মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন।

মঙ্গলবার একটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আবদুল বাতেন বলেন, ঘটনাটির তদন্ত শুরু করা হয়েছে এফআইআর (প্রাথমিক তথ্য বিররণী)-এর রেশ ধরে। সেই বিবরণীতে উনি (বাদী) প্রাথমিকভাবে যাদের মনে করেছেন, যারা অপরাধ করেছেন, তাদের নাম উল্লেখ করেছেন। এর বাইরেও যদি কাউকে পাওয়া হয়, যারা এটার সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে কোনো বাধা নেই।

সেটা অমিত সাহ বা যেই হোক-তদন্তে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যে কাউকে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।

আবদুল বাতেন বলেন, ‘মামলা দায়েরের সময় যারা আসামি থাকেন, তদন্তের পর তাদের মধ্য থেকে কেউ বাদ যেতে পারেন আবার কেউ যুক্ত হতে পারেন। অমিত সাহার নাম ইচ্ছা করে বাদ দেওয়া হয়নি। তদন্তের পরে যদি মনে হয় সে জড়িত, তাহলে তাকেও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’

এদিকে আবরারকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ১০ ছাত্রলীগ নেতার পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান রাসেল, সহসভাপতি মুহতামিম ফুয়াদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, উপ-সমাজকল্যাণ সম্পাদক ইফতি মোশারফ সকাল, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিওন, গ্রন্থনা ও গবেষণা সম্পাদক ইশতিয়াক মুন্না, মুনতাসির আল জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর, মুজাহিদুর রহমান ও মেহেদী হাসান রবিন।

এদিকে আবরার হত্যায় এজাহারভুক্ত আরও তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। তারা হলেন-মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র শামসুল আরেফিন রাফাত (২১), ওয়াটার রির্সোসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মো. মনিরুজ্জামান মনির (২১) ও একই ব্যাচের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মো. আকাশ হোসেন (২১)।

গত রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের নিচতলা থেকে আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সোমবার রাতে ১৯ জনকে আসামি করে তার বাবা বরকত উল্লাহ ঢাকার চকবাজার থানায় মামলা করেন। মামলাটির তদন্ত করতে ডিবিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/অক্টোবর ০৯,২০১৯)