দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ রাব্বীকে ডেকে নিয়ে বুয়েট ছাত্রলীগের উপ-সমাজকল্যাণ সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকালসহ মামলার এজাহারভুক্ত ও অন্যান্য আসামিরা ক্রিকেটের স্টাম্প এবং লাঠি-সোটা দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় প্রচণ্ড মারধর করেন। মারধরের ফলে আবরার মারা যান।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) আসামি ইফতি ঘটনার সত্যতা প্রকাশসহ ঘটনার বিষয়ে নিজ ইচ্ছায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। জবানবন্দি দেয়ার আগে ইফতিকে আদালতে হাজির করে আসামিকে কোর্টে প্রেরণ ও জবানবন্দী রেকর্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান। আবেদনে এসব কথা উল্লেখ করেন তিনি।

তদন্তকারী কর্মকর্তা আবেদনে বলেন, ‘আসামি ইফতি মোশাররফ সকাল ৬ অক্টোবর আবরার ফাহাদ রাব্বীকে বুয়েট শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর রুম থেকে হত্যার উদ্দেশ্যে ডেকে নিয়ে যান। পরের দিন (৭ অক্টোবর) হলের ২০১১ নম্বর রুমের ভেতরে নিয়ে ইফতিসহ মামলার এজাহারভুক্ত ও অন্যান্য আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে ক্রিকেটের স্টাম্প এবং লাঠি-সোটা দিয়ে আবরারের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় প্রচণ্ড মারধর করেন। মারধরের ফলে তিনি মারা যান।‘

তার মৃত্যু নিশ্চিত করে আসামিরা ওই ভবনের দ্বিতীয় তলার সিঁড়িতে মৃতদেহ ফেলে রাখেন। পরে কয়েকজন ছাত্র তার দেহ সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার আবরারকে মৃত ঘোষণা করেন।

এর আগে মঙ্গলবার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে (২১) পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মীর পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/অক্টোবর ১১,২০১৯)