দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের ‘ক্যাসিনো গুরু’ হিসেবে পরিচিত এনামুল হক আরমানের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আরমান মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহ-সভাপতি ও সম্রাটের বন্ধু।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম ঢাকা মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন মাদক মামলায় তার পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একই দিন অস্ত্র ও মাদক মামলায় সম্রাটের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

ক্যাসিনো সম্রাট খ্যাত যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এর মধ্যে মাদক মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানকেও আসামি করা হয়েছে।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে র‌্যাব-১ বাদী হয়ে রমনা মডেল থানায় মামলা দুটি করে। এই দুই মামলার বাদী র‌্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দণ্ডপ্রাপ্ত আরমান ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার সোনাপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। ব্যক্তিগত জীবনে স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে তার সংসার।

কারা সূত্র জানায়, আরমানকে ছয় মাসের দণ্ড দেয়া নথিতে মুক্তির সময় উল্লেখ করা হয়েছে ২০২০ সালের ৫ এপ্রিল। তবে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা পরিশোধ না করলে মুক্তি পাবে একই বছরের ১২ এপ্রিল। ২০১৮ সালের মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন র‌্যাব-৪-এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিজাম উদ্দিন আহমেদ।

যুবলীগ নেতা সম্রাট ও তার সহযোগী আরমান চারদিন ধরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামের জামায়াত নেতা ও ফেনীর পৌরসভার মেয়র আলা উদ্দিনের ভগ্নিপতি মনিরুল ইসলাম চৌধুরীর বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন।

৬ অক্টোবর রাতে ঢাকা থেকে র‌্যাবের একটি দল ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের সময় আরমানকে মদ্যপ অবস্থায় পাওয়া যায় এবং তার পকেট থেকে ১৪০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে র‌্যাব। পরে মাদক সেবনের দায়ে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত আরমানকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন।

কুমিল্লা কারাগার সূত্র জানায়, গ্রেফতারের পর আরমানকে ফেনী থেকে কুমিল্লা কারাগারে আনা হয়। তাকে কারাগারের একটি নির্জন সেলে রাখা হয়েছে। তবে এ সময় তার সঙ্গে দেখা করতে আসেননি কেউ।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/অক্টোবর ১৫,২০১৯)