নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ৮নং দিঘলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি স ম অহিদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ শেখের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তাদেরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতারা। এ সময় দলীয় নেতাকর্মীরা দিঘলিয়া বাজার এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিকাল ৪টায় দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ইউপি চেয়ারম্যান নীন ইয়াসমীনের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুক্তিযোদ্ধা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ আবুল কালাম আজাদ।

তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালে দিঘলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর দলের নাম ভাঙিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয় নির্মাণের নামে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রায় ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। অথচ কার্যালয়টি আজও পূর্ণাঙ্গভাবে নির্মিত হয়নি। তারা ইউনিয়নে উল্লেখযোগ্য কোনও সাংগঠনিক কার্যক্রম করেনি।’

আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, ‘সম্প্রতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ইউনিয়নের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে টাকার বিনিময়ে জামায়াত বিএনপি সমর্থিত কর্মীদের ‘কাউন্সিলর’ মনোনীত করেছেন। বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সভাপতি অহিদুর রহমান নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিপক্ষে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে পরাজিত হন। এ ছাড়া সাধারণ সম্পাদক ভূমিদস্যু ও জালিয়াত আবু সাঈদ শেখের চাচা যুদ্ধপরাধী মামলার আসামি আবু দাউদ শেখ বর্তমান কারাগারে রয়েছে এবং তার ছোট ভাই তুষার শেখ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য।’

আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সভাপতি ও সম্পাদক মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইউসুফ আলীর ছেলে রুবেল মোল্যা, ভাতিজা শামীম মোল্যাকে চাকরির জন্য দলীয় প্যাডে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন। কাউন্সিলর মনোনয়নের ক্ষেত্রে সিনিয়র নেতাদের বাদ দেওয়া হয়েছে এবং তাদের কোনও মতামত নেওয়া হয়নি। এমনকি নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী বর্তমান চেয়াম্যান নীনা ইয়াসমীনকে কাউন্সিলর হিসেবে মনোনীত করা হয়নি।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ হাবিবুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক খান মশিয়ার রহমান, ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্পাদক মোল্যা হাসানুজ্জামান, যুবলীগের সাবেক সম্পাদক আলী আযমসহ অনেকে।

এ বিষয়ে সভাপতি স ম অহিদুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে যারা নৌকা প্রতীকের বিপক্ষে কাজ করেছে তাদের কাউন্সিলর করা হয়নি।’

সম্পাদক আবু সাঈদ শেখও তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/অক্টোবর ১৬,২০১৯)