দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তে তুর্কি বাহিনী ও কুর্দি যোদ্ধাদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি মুহুর্মুহু গুলি চলছে। মাথার উপরে উড়ছে যুদ্ধবিমান। সীমান্তের ওপার থেকে কুর্দিদের ছোড়া মর্টার এলোপাতাড়ি পড়ছে।

মর্টার শেলের শব্দে ভয়াবহ আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। প্রাণ বাঁচাতে সীমান্তবর্তী এলাকায় নিজেদের বাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছে শত শত তুর্কি পরিবার। সাইলানপিনার শহরের বাসিন্দা আয়শা বলেন, বুধবার তুরস্কের অভিযান শুরুর কিছুক্ষণই পরই সবার মতো আমিও টেবিলের তলে লুকিয়ে পড়ি। আমরা কখনও চিন্তাও করিনি যে, এভাবে মর্টার আঘাত হানবে।

এএফপি জানায়, হামলা শুরুর দু’দিন পর ভিরানশেহির শহরে চলে যান ছয় সন্তানের মা আয়শা। সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরের এ শহরে সাতটি আশ্রয়স্থল গড়ে তুলেছে তুর্কি সরকার।

এর একটিতে চলে যান আয়শা, যেখানে অন্তত ১ হাজার মানুষকে (যাদের অধিকাংশই শিশু ও নারী) আশ্রয় ও খাবারের ব্যবস্থা করেছে সরকার। আয়শা বলেন, আমি আমার বাড়ি ছেড়ে আসতে চাইছিলাম না। কিন্তু আমি দেখলাম, মর্টারের শব্দে আমার বাচ্চাদের মানসিক অবস্থার ওপর খারাপ প্রভাব পড়ছিল।

সিরিয়ার কুর্দি অধ্যুষিত রাস আল-আইন শহরকে টার্গেট করে হামলা শুরু করে তুর্কি বাহিনী। আর কুর্দি প্রোটেকশন ইউনিটের (ওয়াইপিজে) সদস্যরা ৭০ হাজার মানুষের বাস সাইলানপিনার শহরকে টার্গেট করে মর্টার ছুড়ছে। অভিযানের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার ১১ বছরের দুই তুর্কি শিশু নিহত হন। আশ্রয়স্থলে গিয়ে ভুক্তভোগী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেন এএফপির প্রতিনিধি। আট সন্তানের মা গুলিস্তান বলেন, রাতেই আমি আমার সন্তানদের জন্য কিছু না নিয়েই ঘর থেকে পালিয়েছি।

তিনি বলেন, ‘আমার ঘরে একটি বোমা এসে পড়ে, কিন্তু সেটি বিস্ফোরিত হয়নি। আর এ কারণেই আমরা বেঁচে আছি।’ এদিকে সিরিয়ার বন্দিশিবির থেকে কোনো আইএস জঙ্গি পালাতে পারবে না বলে জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগান।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত এক নিবন্ধে তিনি লেখেন, আমরা এটা নিশ্চিত করব যে, সিরিয়ার উত্তরপূর্বাঞ্চল থেকে কোনো আইএস পালাতে পারবে না।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/অক্টোবর ১৬,২০১৯)