দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘বিজিবির তথ্যমতে পতাকা বৈঠকের অপেক্ষা না করে তারা (বিএসএফ)আটক জেলেকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য জোরাজুরি করছিল।  আর তখনই এই গোলাগুলির ঘটনা। এতে একজন বিএসএফ সদস্য মারা যান। বিজিবি মহাপরিচালক ও বিএসএফের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। আমরা মনে করি, এটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আলাপের মাধ্যমে এর একটা সুরাহা হবে।’

রাজশাহীর চারঘাট সীমান্তে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাতে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একথা বলেন।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘এটা একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে চমৎকার একটা সম্পর্ক রয়েছে। হঠাৎ করে এই দুর্ঘটনাটা আমরা সবাই মর্মাহত হয়েছি।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আপনারা নিশ্চয়ই জানেন আমাদের মাছ ধরার জন্য ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বিজিবি ও মৎস্য অধিদফতর যৌথ টহল দিচ্ছিল, সেই সময় তারা দেখে একটা নৌকায় করে কিছু সংখ্যক জেলে মাছ ধরছি। তাদের চ্যালেঞ্জ করলে জানা যায়, তারা ভারতীয় জেলে। তাদেরকে যখন আটক করা হয় তখন তাদের কয়েকজন বিএসএফকে খবর দিলে বিএসএফ সেখানে চলে আসে। সেখানেই ভুল বোঝাবুঝি হয়।’

এর আগে দু’জন র‍্যাব সদস্যকে বিএসএফ ধরে নিয়ে গিয়ে চোখ বাঁধা অবস্থায় ফেরত দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সেখানে র‍্যাব টহল দিতে গিয়ে ভুলে ভারতীয় সীমানায় ঢুকে গিয়েছিল। সেজন্যই এই ঘটনাটি ঘটেছে। বিএসএফ তাদের দু’জনকে চোখ বাঁধা এবং আহত অবস্থায় আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। সেটাও একটা মিটিং এর মাধ্যমে সুরহা হবে।’

আবরার হত্যাকাণ্ড নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি বারবার বলেছি আমরা খুব শিগগিরই একটা নির্ভুল চার্জশিট দেবো। যাতে করে বিচার বিভাগের কাছে কোনও প্রশ্ন না থাকে। একটা নির্ভুল চার্জশিট দেওয়ার জন্য পুলিশ কর্মকর্তারা ব্যবস্থা নিচ্ছেন।’

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/অক্টোবর ১৮,২০১৯)