দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: যুবলীগের সঙ্গে আগামী রোববার বিকাল ৫ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বসবেন। জানা গেছে যে, এই বৈঠকে যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেস, যুবলীগের নেতৃত্বসহ মোটা দাগে ৫টি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ আগামীকাল শনিবার সকালে গণভবনে ৩৫ জন সাক্ষাৎপ্রাপ্তির একটি তালিকা জমা দেবেন।

গণভবন সূত্রগুলো বলছে, যে ৩৫ জনের তালিকা দেওয়া হবে তারাই যে আসতে পারবে তা চুড়ান্ত নয়। এরমধ্যে যদি কোন বিতর্কিত ব্যক্তি থাকেন। তাহলে তাদেরকেও বাদ দেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ৫টি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।

প্রথমত, যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেসে কে সভাপতিত্ব করবেন? সাধারণত যুবলীগের চেয়ারম্যান কংগ্রেসের সভাপতিত্ব করেন। কিন্তু যেহেতু এখন যুবলীগের চেয়ারম্যানকে নিয়ে বিতর্ক উঠেছে। কাজেই যুবলীগের চেয়ারম্যান শেষ পর্যন্ত সভাপতিত্ব করবেন কিনা এই প্রশ্নের মিমাংসা হবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যুবলীগ নেতৃবৃন্দর বৈঠকের মাধ্যমে।

দ্বিতীয়ত, যুবলীগের কংগ্রেসের আনুষ্ঠানিকতা কোথায় হবে, কংগ্রেসে প্রধান অতিথি কে থাকবেন এবং যুবলীগের যে বিভিন্ন সম্মেলন প্রস্তুতির কমিটি সেগুলো কিভাবে সম্পন্ন হবে সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনা নেবেন যুবলীগ নেতৃবৃন্দ।

তৃতীয়ত, যুবলীগের যাদের বিরুদ্ধে টেন্ডার বাণিজ্য, ক্যাসিনো বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে কিন্তু এখনো তারা দল থেকে বহিস্কার হয়নি তাদের বিরুদ্ধে কি ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি দিক নির্দেশনা দেবেন।

চতুর্থত, যুবলীগের স্থানীয় পর্যায়ে যে কমিটিগুলো এখন পর্যন্ত সম্পন্ন হয়েছে (৩৬ টি জেলায়) তার ভবিষ্যৎ কি হবে? সেই কমিটিগুলো থাকবে নাকি ভেঙ্গে দেওয়া হবে। তাছাড়া ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের কমিটি ভেঙ্গে দেওয়া হবে কি না সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা চাওয়া হবে। যেহেতু এই কমিটিগুলো নিয়ে অনেক বিতর্ক তৈরী হয়েছে।

পঞ্চমত, যুবলীগের বয়সসীমা নির্ধারণ করা হবে কিনা। বয়সসীমা নির্ধারণ হলে কত হবে সে বিষয়টিও যুবলীগ নেতৃবৃন্দর সঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতির বৈঠকে ঠিক হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, কয়েকটি বাস্তব কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুবলীগ চেয়ারম্যানকে এই বৈঠক থেকে বাদ দিয়েছেন। এই সমস্ত কারণগুলোর মধ্যে প্রধান কারণ হলো; যেহেতু তাকে নিয়ে অনেক অভিযোগ রয়েছে। তিনি থাকলে তার সামনে অভিযোগগুলো নিয়ে যুবলীগ নেতৃবৃন্দ কথা বলতে পারবে না। সেজন্য তিনি যুবলীগ চেয়ারম্যানকে বাইরে রেখে এই বৈঠকটি করতে চাইছেন।

দ্বিতীয় যে বিষয়টি তিনি মনে করছেন, যুবলীগের যারা সাক্ষাৎ করবেন তাদের বিরুদ্ধেও অনেক অভিযোগ প্রধানমন্ত্রীর কাছে আছে। প্রধানমন্ত্রী খোলামেলাভাবে অভিযোগগুলো তাদেরকে বলবেন। সেই কারণেই প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি যুবলীগ চেয়ারম্যানকে বাদ দিয়ে বৈঠক করছেন। তবে এই বৈঠকের মাধ্যমে যুবলীগের কংগ্রেস, যুবলীগের পরবর্তী নেতৃত্ব এবং সংগঠনটি কিভাবে এগুবে সে সম্বন্ধে একটি সুনির্দিষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করছে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/অক্টোবর ১৮,২০১৯)