দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের যুবলীগ সভাপতি হওয়ার অভিপ্রায়ের খবরে বিস্মিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

তিনি বলেছেন, ‘আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম। পড়াকালীন আমি হলের ভিপি ছিলাম। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা শুরু করি। বিভাগীয় চেয়ারম্যানও হয়েছি। ছাত্র জীবন থেকে শিক্ষকতা জীবন পর্যন্ত অনেক ভিসি দেখেছি। কোনও একটি রাজনৈতিক দলের অঙ্গ-সংগঠনের সভাপতির পদ দেওয়া হলে জবি ভিসি তার পদ ছেড়ে দেবেন। কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এমন কথা বলতে পারেন? এটা সমাজ পচনের অনত্যম উদাহরণ।’

শনিবার (১৯ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘জিয়া মুক্তি পরিষদ’ আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি একথা বলেন।

মোশাররফ বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ছাত্রলীগ নেতাদের এক কোটি ৮০ লাখ টাকা ঈদ বকশিস দিয়েছেন। তার কাছে কি টাকা তৈরির মেশিন আছে, নাকি গাছ আছে? বিষয়টি আরও দুর্ভাগ্যজনক।’

তিনি বলেন, ‘দেশে জনগণের সরকার থাকলে ভারতের সঙ্গে এভাবে চুক্তি করতে পারতো না। দুর্বল সরকার বলে তারা চুক্তি করেছে। ভারতের সঙ্গে আমরা সুসম্পর্ক, ভাই-ভাই হিসেবে পাশপাশি থাকতে এবং সমতার সম্পর্ক চাই। এটাই আমাদের পররাষ্ট্র নীতি। তিস্তা চুক্তি নিয়ে কোনও সমাধান নেই, অভিন্ন ৫৪ নদীতে ভারত বাঁধ দিয়েছে সে নিয়ে কথা হয়নি, ফেনী আমাদের নদী সেটার পানি মানবিক কারণে ভারতকে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন। অথচ এই চুক্তির আগেই ভারত ফেনী নদীতে ৩৫টি পাম্পের মাধ্যমে অবৈধভাবে পানি নিচ্ছে।’

সরকারের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে গেছে। ৯-১০টি ব্যাংক দেউলিয়া। সরকারের লুটেরা ব্যবসায়ীরা ঋণ নিয়ে তা দিচ্ছেন না। তাদেরকে আরও সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনে যারা আছেন তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না।’

খালেদা জিয়ার জামিন প্রসঙ্গে মোশাররফ বলেন, ‘জামিন তার প্রাপ্য অধিকার। কিন্তু তাকে জামিন দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের অনেকে বলেছেন, আইনজীবীরা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারছেন না। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সরকার নিয়ন্ত্রণ করছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মূলকভাবে তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে। ’

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/অক্টোবর ১৯,২০১৯)