দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ স্থগিত ও সংশোধনের দাবিসহ নয় দফা দাবিতে বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি চলছে। ট্রাক শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে সড়কে চলছে হাতেগোনা কয়েকটি গণপরিবহন।

রাজধানীর সদরঘাট, গুলিস্তান, পল্টন, কারওরানবাজার, ফার্মগেট, মৌচাক, মালিবাগ, রামপুরা ও বাড্ডার বিভিন্ন সড়কে ঘুরে দেখা গেছে, স্কুল, অফিসগামীসহ নানা শ্রেণিপেশার যাত্রীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। এসব সড়কে পাঁচ মিনিট পর পর দু-একটি বাস আসছে। এসব বাসে ভাড়াও নেয়া হচ্ছে দুই থেকে তিনগুণ বেশি। ফলে অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক, পিকআপ ভ্যানে করে যাচ্ছেন গন্তব্যে।

ডেমরা স্টাফকোয়ার্টার এলাকায় আসমানি পরিবহনের কয়েকটি বাস থামিয়ে পরিবহন শ্রমিকরা বাসের চাবি ছিনিয়ে নিচ্ছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও সাইনবোর্ড ও যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকেও কোনো বাস ঢাকার দিকে ঢুকতে দিচ্ছেন না শ্রমিকরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাস মালিক জানান, গুলিস্তান-গাজীপুর রুটে সকাল থেকে কয়েকটি বাস চলাচল করলেও শ্রমিকরা গাজীপুরে বাস আটকে দিয়েছে। বর্তমানে এই রুটে হাতেগোনা কয়েকটি বাস চলছে।

বাসের অঘোষিত ধর্মঘটের বিষয়ে পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, ‘আমরা কোনো ধর্মঘট ডাকিনি। ট্রাক শ্রমিকরা রাস্তায় রাস্তায় পিকেটিং করছে, তারা বাস চলতে দিচ্ছে না।’

সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে দাঁড়িয়ে উবার মোটো ও পাঠাওয়ের চালকদের ডেকে ডেকে মৌখিক ভাড়া নির্ধারণ করে চলতে দেখা গেছে অনেককে।

এ দিকে কর্মবিরতি নামে অঘোষিত পরিবহন ধর্মঘট অনতিবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

তিনি বলেন, একটি চিহ্নিত কায়েমী স্বার্থবাদী গোষ্ঠী পরিবহন সেক্টরে প্রভাব বিস্তার করে নানা সময়ে সরকারের ভালো কাজগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এই গোষ্ঠী জনগণের প্রত্যাশিত নতুন সড়ক আইন বাস্তবায়নে বাধা দিচ্ছে। তারা নিরীহ শ্রমিকদের মাঝে গুজব রটিয়ে ফায়দাতন্ত্র হাসিল করতে চায়। এদের খুঁজে বের করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/নভেম্বর ২০,২০১৯)