দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: সড়ক পরিবহন আইনের অসঙ্গতি দূর করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, তবে সেটা যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণের বাইরে কিছু করা সম্ভব নয়। আজ বৃহস্পতিবার রাজারবাগ পুলিশ লাইনস এ ২১ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর ট্রাফিক সচেতনতা সপ্তাহের উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চালকদের লাইসেন্স প্রদানে সিস্টেমগত জটিলতা ছিল, বিধায় আইন প্রয়োগ শিথিলতার সময় বাড়ানো হয়েছে। সড়ক সবার জন্য নিরাপদ করতে, শৃঙ্খলা ফেরাতে, আইনের বাস্তবায়ন করতেই হবে।

তিনি আরও বলেন, সবাইকে আন্তরিকতা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। ট্রাফিক শৃঙ্খলা সভ্য জাতির প্রতীক। একটি প্রাণও যাতে ক্ষতির মুখোমুখি না হয় সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।

এর আগে বুধবার (২০ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে ধানমন্ডিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতারা। এরপর দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেতারা।

সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা যে ৯ দফা দাবি দিয়েছিল তা নিয়ে আলোচনা করেছি। তারা ধর্মঘট প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমরা বেশকিছু আইন সংশোধনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো। আর তাদের যেসব কাগজপত্র সমস্যা রয়েছে তা ঠিক করতে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে একটা অসঙ্গতি ছিল। আমরা তাদের লাইসেন্স সঠিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দিতে পারছিলাম না। এই অবস্থায় এখন তারা যেই ইন্সট্রুমেন্ট দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছেন, তা দিয়েই আগামী জুন পর্যন্ত চালাবেন। জুনের মধ্যে বিআরটিএ’র মাধ্যমে তারা গাড়ির লাইসেন্স ঠিক করে নেবেন।’

মন্ত্রী বলেন, বৈঠকের মাধ্যমে প্রণীত আইনের বিষয়ে এ সিদ্ধান্ত মোটেও আইনপরিপন্থী নয়। আইনটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কিছু অসঙ্গতি আমাদেরও রয়েছে যেমন, পার্কিংয়ের পর্যাপ্ত জায়গা আমরা করতে পারিনি। সেগুলোই বিবেচনা করা হবে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/নভেম্বর ২১,২০১৯)