দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ‘সবাই মিলে দেব কর, দেশ হবে স্বনির্ভর’- স্লোগানকে সামনে রেখে আজ (শনিবার) দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে জাতীয় আয়কর দিবস-২০১৯। এ বছর দিবসটির নির্ধারিত প্রতিপাদ্য হলো ‘কর প্রদানে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ, নিশ্চিত হোক রূপকল্প বাস্তবায়ন’।

কর দিবস উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেছেন, পৃথিবীর সব উন্নত রাষ্ট্রের প্রধান রাজস্ব উৎস হিসেবে বিবেচিত হয় প্রত্যক্ষ কর বা আয়কর। বাংলাদেশ রূপকল্প ২০২১ এবং রূপকল্প ২০৪১ এর পথ ধরে সুখী-সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার পথে অগ্রসর হচ্ছে। এ লক্ষ্য অর্জনে বাস্তবায়িত হচ্ছে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও পায়রা সমুদ্রবন্দরের মতো মেগা প্রকল্প। এসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের যথাযথ বাস্তবায়নে দেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। এ ক্ষেত্রে আয়কর প্রদানকারীর সংখ্যা এবং আয়কর খাতে রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি অত্যন্ত জরুরি।

প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, কর আহরণের মাধ্যমে সামাজিক ন্যায়বিচার ও সমতা নিশ্চিত করা কর বিভাগের প্রধান কাজ। এনবিআর ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার পাশাপাশি রাষ্ট্রের রাজস্ব ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কর প্রদানে দেশের জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে এনবিআরের বিভিন্ন উদ্ভাবনীমূলক কর্মসূচি গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত বিস্তৃত করা হয়েছে।

ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে করদাতাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী সহজ ও গতিশীল (ওয়ানস্টপ) করসেবা প্রদানের মাধ্যমে ১৪-২০ নভেম্বর আয়কর মেলা-২০১৯ অনুষ্ঠিত হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ বছর আয়কর মেলায় করদাতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও অভূতপূর্ব সাড়া কর আহরণের ক্ষেত্রে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। সাত দিনে রেকর্ড পরিমাণ আয়কর আহরিত হয়েছে। এ জন্য আমি সম্মানিত করদাতা ও নাগরিকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’

আয়কর দিবস উপলক্ষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সব বিভাগীয় শহরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করবে। এছাড়াও আরও দিনভর চলবে আরও বেশ কিছু করমসূচি।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/নভেম্বর ৩০,২০১৯)