দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: লন্ডন শহরে শুক্রবার ছুরি হামলার ঘটনায় কমপক্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরো তিনজন। নিহতদের মধ্যে হামলাকারী উসমান খানও রয়েছেন।

ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানায়, শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৫৮ মিনিটে লন্ডন ব্রিজের উত্তর অংশের শেষপ্রান্তে এ হামলার ঘটনা ঘটে। সেখানে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে বন্দিদের পুনর্বাসনের ওপর একটি সম্মেলন হচ্ছিল। ওই সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। এতে অংশ নিয়েছিল হামলাকারী যুবক ওসমান খান নিজেও। এক পর্যায়ে সে ছুরি নিয়ে সম্মেলনে আগতদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। হামলায় একজন নারী ও পুরুষ নিহত হন। এ ঘটনায় দুই নারীসহ আহত হয়েছেন আরো তিনজন আহত হন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পরে সেখানে উপস্থিত কয়েকজন হামলাকারীকে প্রতিহত করে। তারা ঘাতককে মাটিতে ফেলে দিয়ে তার কাছ থেকে ছুরি কেড়ে নেয়। এর কয়েক মুহূর্ত পরেই সেখানে পুলিশ পৌঁছায়। তারা গুলি করে হামলাকারীকে হত্যা করে।

লন্ডন পুলিশ এ ঘটনাকে সন্ত্রাসী হামলা হিসাবে ঘোষণা করেছে। তারা বলছে, হামলাকারী যুবক ওসমান খানকে ২০১২ সালে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সে যুক্তরাজ্যের কারাগারে দীর্ঘ ৮ বছর জেলও খেটেছে। সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে সে জেল থেকে ছাড়া পায়। পুলিশ ওসমানের ওপর আরো তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

এদিকে মাটিতে পড়ে থাকা নিরস্ত্র হামলাকারীকে পুলিশ কেন গুলি করল, সেই প্রশ্নও উঠছে। তবে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানিয়েছে, আততায়ীর জ্যাকেট দেখে পুলিশ ভেবেছিল, সে ‘সুইসাইড ভেস্ট’পরে রয়েছে। তাই আরও বড় হামলার আশঙ্কায় তারা তাকে গুলি করে তারা। পরে অবশ্য দেখা যায়, হামলাকারী যেটা পরে রয়েছে, সেটি নকল ভেস্ট। পুলিশ কেন গুলি চালাল, তা নিয়ে একটি পৃথক তদন্ত শুরু করেছে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/নভেম্বর ৩০,২০১৯)