দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পা হত্যার দুদিন পার হয়ে গেলেও ঘটনার রহস্য এখনো উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। রহস্য উন্মোচনে একাধিক বিষয়কে সামনে রেখে তদন্ত করছে পুলিশের সিআইডি ইউনিট। রুম্পার মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ এখনো সন্দেহভাজন কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেননি। তবে পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে রুম্পার প্রেমের বিষয়টি।

জানা যায়, ৭-৮ মাস আগে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ’র ছাত্র সৈকতের সঙ্গে রুম্পার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে সৈকত আর্থিক কারণে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। পারিবারিক কারণ দেখিয়ে তিনি রুম্পার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন।

গণমাধ্যমে সৈকত দাবি করেন, রুম্পা বিভিন্ন সময় ফেসবুক এবং মোবাইল ফোনে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করতেন। কিন্তু তিনি এই সম্পর্ক এগিয়ে নিতে আগ্রহী ছিলেন না। ঘটনার দিন বুধবার দুপুরে এক বন্ধুর জন্মদিনের কেক কাটতে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন তিনি। সেখানে রুম্পার এক মেয়ে বন্ধু তার (ছেলেটি) সঙ্গে দেখা করেন। তিনি তাকে অনুরোধ করেন প্রেমের সম্পর্কটি যেন তারা এগিয়ে নিয়ে যান। পরে রুম্পাও তার সঙ্গে দেখা করেন। সবার সামনেই তিনি রুম্পাকে জানিয়ে দেন, এই সম্পর্কটি এগিয়ে নিতে চান না তিনি। পরে তিনি সেখান থেকে চলে যান।

মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রেমসংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। এ বিষয়ে খোঁজ নেয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে সিদ্ধেশ্বরীর ৬৪/৪ নম্বর বাসার নিচে শারমিনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঘটনার পরপরই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা হত্যার আলামত সংগ্রহ করেন। ময়নাতদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ধারণা করা হচ্ছে, ওই তরুণী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ডিসেম্বর ০৭,২০১৯)