দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ডোপিংয়ের কারণে সব ধরনের স্পোর্টিং ইভেন্ট থেকে চার বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছে রাশিয়া। ফলে ২০২০ টোকিও অলিম্পিক এবং ২০২২ সালের কাতার ফুটবল বিশ্বকাপেও অংশ নিতে পারবে না দেশটি।

বিশ্বের এন্টি-ডোপিং এজেন্সির (ওয়াডা) সিদ্ধান্ত অনুসারে অনুষ্ঠিতব্য ২০২০ টোকিও অলিম্পিক এবং ২০২২ কাতার ফুটবল বিশ্বকাপে অংশ নিতে পারবে না রাশিয়া। অবশ্য যে সকল অ্যাথলেট ব্যক্তিগতভাবে ডোপ টেস্টে উত্তীর্ণ হবেন, তারা রাশিয়ার নাম ব্যবহার না করে খেলায় অংশ নিতে পারবেন।

সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ওয়াডা’র কার্য নির্বাহী কমিটির মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এই নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে আপিলের জন্য এখনও ২১ দিন সময় রয়েছে রাশিয়ার হাতে। এ সময়ের মধ্যে ওয়াডা’র হাতে রাশিয়ার এন্টি ডোপিং এজেন্সি (রুসাডা) তাদের পরীক্ষা কার্যক্রমের তথ্য নির্দেশনা অনুসারে প্রদান করলে নিষেধাজ্ঞা বাতিল বা শিথিল করা হতে পারে। তবে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ২০২০ সালের ইউরো কাপে অংশ নেবে রাশিয়া কারণ ওয়াডা’র ‘আন্তর্জাতিক বড় আসর’ হিসেবে ইউরো কাপকে বিবেচনা করা হয়না।

২০১৪ সালে সোচিতে অনুষ্ঠিত খেলায় ডোপ টেস্টে ধরা পড়ার পর তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় রাশিয়াকে। এ কারণে ২০১৮ সালে শীতকালীন অলিম্পিকে পতাকা ছাড়া অংশগ্রহণ করে রাশিয়ার ১৬৮ জন অ্যাথলেট। মূলত মেলডোনিয়াম নিষিদ্ধ হবার পর রাশিয়ান অ্যাথলেটরা ডোপ টেস্টে নিষিদ্ধ হন। রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ তখন জানায়, এটি সাধারণ মেডিসিন হিসেবেই রাশিয়ান অ্যাথলেটরা ব্যবহার করত।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ডিসেম্বর ০৯,২০১৯)