দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বিজয়ের মাসে পদ্মাসেতুর ১৮তম স্প্যান ‘৩-ই’ সেতুর ১৭ ও ১৮ নম্বর পিলারের উপর বসিয়ে দৃশ্যমান হলো ২ হাজার ৭০০ মিটার অবকাঠামো। ৬.১৫ কিলোমিটার পদ্মাসেতুর দৃশ্যমানের বাকি রয়েছে এখন ৩.৪৫ কিলোমিটার। ট্রেন ও গাড়িতে চড়ে পদ্মাপাড়ি বাস্তবে রূপ নেবে আর ২৩টি স্প্যান বসানোর মাধ্যমে।

পদ্মা সেতুর সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ন কবীর জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাওয়ার কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড-১ থেকে ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার তিয়ান-ই ভাসমান ক্রেনে করে নির্দিষ্ট স্থানে স্প্যানটি আনা হয়। পরবর্তীতে দুপুরে ১৭-১৮ নম্বরে পিলারের ওপর স্থায়ীভাবে স্থাপন করা হয়। এরপর ১৬ ও ১৭ নম্বর পিলারের স্প্যানের একটি অংশের সঙ্গে ঝালাই করা হয়। ১৭তম স্প্যান বসানোর ১৪ দিনের মাথায় বসানো হলো ১৮তম স্প্যান।

জানা গেছে, সেতুর চ্যালেঞ্জিং কাজ সব শেষ। দেশে আসা ৩৩টি স্প্যানের মধ্যে ১৭টি বসানো হয়েছে। প্রস্তুত আছে পাঁচটি ও বাকি আছে ১১ টি স্প্যান। ডিসেম্বর মধ্যেই সেতুর ৪-সি ও ৩-এফ স্প্যানসহ মোট তিনটি স্প্যান বসানোর শিডিউল রয়েছে। সেতুর রোডওয়ে স্ল্যাব ও রেলওয়ে স্ল্যাবসহ অন্যান্য কাজও সিডিউল অনুযায়ী চলছে। ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘের দ্বিতল সেতুটি কংক্রিট ও স্ট্রিল দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড মূল সেতু নির্মাণের কাজ করছে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ডিসেম্বর ১১,২০১৯)