দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: অবশেষে শুরু হয়েছে বহুল আলোচিত বিজিএমইএ ভবন ভাঙার কাজ। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১২টায় গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ভবনটি ভাঙার কাজ ‘আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন’ করেন। রাজধানীর হাতিরঝিলে গড়ে তোলা বিজিএমইএ ভবনটি ভাঙার কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফোর স্টার এন্টারপ্রাইজ।

সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে জলাধার আইন লঙ্ঘন করে গড়ে ওঠা ১৫ তলা বিজিএমইএ ভবন ভাঙার আদেশ হওয়ার পর গত এপ্রিলে ভবনটি ভাঙা এবং ব্যবহারযোগ্য মালামাল কিনতে আগ্রহী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপত্র আহ্বান করে বিজ্ঞপ্তি দেয় রাজউক।

তখন বলা হয়েছিল, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তিন মাসের মধ্যে বিজিএমইএ ভবন ভেঙে মালামাল সরিয়ে নিতে তবে।

রাজউকের ওই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর পাঁচটি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব জমা দেয়। এরমধ্যে মেসার্স সালাম অ্যান্ড ব্রাদার্স এক কোটি ৭০ লাখ টাকা, পিএনএস এন্টারপ্রাইজ ৫৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা, মেসার্স চন্দ্রপুরী এন্টারপ্রাইজ এক কোটি টাকা, ফোর স্টার এক কোটি ৫৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা এবং মেসার্স সামিরা এন্টারপ্রাইজ ৩০ লাখ টাকা দর প্রস্তাব করে।

প্রথমে সর্বোচ্চ দরদাতা মেসার্স সালাম অ্যান্ড ব্রাদার্সকে কাজটি দেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা অপারগতা জানালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে চট্টগ্রামের ফোর স্টার এন্টারপ্রাইজ পায় কাজটি।

তবে ভবন থেকে মূল্যবান মালামাল বিজিএমইএ সরিয়ে নিচ্ছে এমন অভিযোগ তুলে নির্ধারিত সময়ে ভাঙার কাজ শুরু করেনি ফোর স্টার এন্টারপ্রাইজ।

উল্লেখ্য যে, বিজিএমইএ ভবনকে হাতিরঝিল প্রকল্পের ‘ক্যান্সার’ আখ্যায়িত করে হাইকোর্ট ২০১১ সালে এক রায়ে ইমারতটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। পরে আপিল বিভাগেও তা বহাল থাকে। সর্বোচ্চ আদালত বিজিএমইএ ভবন ভাঙার রায় দেওয়ার পর কয়েক দফায় সময় নিয়েছিল তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকরা। সবশেষ আদালতের দেওয়া সাত মাস সময়সীমা গত ১২ এপ্রিল শেষ হয়। এরপর ১৫ এপ্রিল বিজিএমইএ ভবনের মালামাল সরিয়ে নিতে একদিন সময় বেঁধে দেয় রাজউক। পরে সময় বাড়ানো হয় আরও। ভবনে থাকা ১৯টি প্রতিষ্ঠান তাদের মালামাল সরিয়ে নিলে বিজিএমএইএ ভবন বন্ধ করে তালা ঝুলিয়ে দেয় রাজউক।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/জানুয়ারি ২২,২০২০)