দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: দুর্নীতির ধারণা সূচক অনুযায়ী বাংলাদেশের স্কোর অপরিবর্তিত থাকলেও এক ধাপ এগিয়েছে। তালিকায় নিচের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪তম।

এই তালিকার ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৬তম, যা ২০১৮ এর তুলনায় ৩ ধাপ উন্নতি।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান জানান, ২০১৯ সালে বাংলাদেশ তালিকার সর্বনিম্ন থেকে গণনা ও স্কোর অনুযায়ী ১৮০ দেশের মধ্যে ১৪তম অবস্থানে রয়েছে; যা সিপিআই ২০১৮ থেকে এগিয়েছে। সর্বোচ্চ থেকে গণনা অনুযায়ী বাংলাদেশ ১৪৬তম; এখানে গত বছরের তুলনায় ৩ ধাপ উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের।
তিনি বলেন, সিপিআই ২০১৯ অনুযায়ী, ১০০ এর মধ্যে গড় স্কোর ৪৩। সেই বিবেচনায় বাংলাদেশের স্কোর ২৬ হওয়ায় দুর্নীতির ব্যাপকতা এখনো উদ্বেগজনক। সূচকে কিছুটা উন্নতি হয়েছে, তবে তা সন্তোষজনক নয়।

তিনি আরো বলেন, দুর্নীতির ব্যাপকতা ও গভীরতার কারণে বাংলাদেশ দুর্নীতিগ্রস্ত বা বাংলাদেশের অধিবাসীরা সবাই দুর্নীতি করে এই ধরনের ভুল ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়। যদিও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও দারিদ্র্য দূরীকরণসহ সর্বোপরি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে কঠিনতম অন্তরায় দুর্নীতি, তথাপি দেশের আপামর জনগণ দুর্নীতিগ্রস্ত নয়। তারা দুর্নীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ও ভুক্তভোগী মাত্র। ক্ষমতাবানদের দুর্নীতি ও তা প্রতিরোধে ব্যর্থতার কারণে দেশ বা জনগণকে কোনোভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত বলা যাবে না।

এশিয়া প্যাসিফিকের ৩১ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ চতুর্থ সর্বনিম্ন অবস্থানে এবং দক্ষিণ এশিয়ার ৮ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সর্বনিম্ন থেকে গণনা অনুযায়ী আফগানিস্তানের পর দ্বিতীয় সর্বনিম্ন।

বিশ্বের ১৮০টি দেশ ও অঞ্চলের ২০১৯ সালের দুর্নীতির পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বার্লিনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) এই সূচক প্রকাশ করেছে। টিআই প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে দুর্নীতির ধারণা সূচক প্রকাশ করে। এরই ধারাবাহিকতায় সিপিআই-২০১৯ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/জানুয়ারি ২৩,২০২০)