দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: পাকিস্তান সফরে খুব বাজে আতিথেয়তা পেয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। কোচের এমন মন্তব্যে যে কেউ হতবাক হয়ে যাওয়ার কথা।

কেননা মাহমুদউল্লাহদের প্রেসিডেন্সিয়াল সিকিউরিটি দিচ্ছে পিসিবি। টাইগারদের নিরাপত্তায় ১০ হাজার অস্ত্রে সজ্জিত সেনা মোতায়েন করেছে তারা।

এ মুহূর্তে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে আছে লাহোর। এদিকে আতিথেয়তার কোনো কমতিও রাখছে না পাকিস্তান। নিরাপত্তা ও আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়েছেন টাইগাররা। সে কথা স্বীকারও করেছেন বাংলাদেশ দলনায়ক মাহমুদউল্লাহ।

তবে কোচের মুখে কেন উল্টোটাই শোনা গেল। সিরিজ হারের পর কি এভাবে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন কোচ ডমিঙ্গো!

কখনওই নয়; জানা গেল তিনি রসিকতা করেছেন বিষয়টি নিয়ে।

মাঠের বাইরে যতই নিরাপত্তা আর অতিথিপরায়ণতা দেখাক, মাঠে যে চুল পরিমাণ ছাড় দেয়নি পাকিস্তান সে কথাই জানাতে এভাবে রসিকতা করলেন ডমিঙ্গো।

টানা দুই জয়ে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে পাকিস্তান। তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ খেলায় আগামীকাল সোমবার জিততে না পারলে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বাধীন দলটি।

শনিবারে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে পাক বোলারদের কাছে টাইগারদের অসহায় আত্মসমর্পণ দেখে বিশ্লেষকদের ধারণা– হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পথেই রয়েছেন মাহমুদউল্লাহরা।

এই যখন অবস্থা, রাসেল ডমিঙ্গোর কাছে সাংবাদিকরা জানতে চাইলেন কেমন লাগছে পাকিস্তানের আতিথেয়তা?

বেশ সরসভাবেই ডমিঙ্গো বললেন, ‘আমরা খুব বাজে আতিথেয়তা পেয়েছি! সিরিজে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে আছি। যদি দুই ম্যাচ জিততাম, তা হলে না হয় বলা যেত মাঠেও ওরা অনেক খাতির করেছে!’

রসিকতা ছেড়ে এর পর স্বাভাবিক কথা বললেন ডমিঙ্গো, ‘চমৎকার ও অভিনব আতিথেয়তা পাচ্ছি। এর চেয়ে বেশি আশা করাই যায় না। তবে এমন নিরাপত্তা দেখে আমরাই ভীত। মাঠের চারপাশে অস্ত্রধারী নিরাপত্তাকর্মীদের দেখাটা একটু ভীতিকর। তবে আমরা ভালো আছি। পাকিস্তান যেভাবে বাংলাদেশ দলকে ‘খাতির’ করছে, তার প্রশংসা না করলে বড্ড ভুল হবে।’

মাঠে পাকিস্তান কোনো খাতির করেনি জানিয়ে টাইগারদের বাজে পারফম্যান্সের কথাও স্বীকার করলেন ডমিঙ্গো।

তিনি বলেন, ‘খেলোয়াড়দের এ পারফরম্যান্স রীতিমতো হতাশ করছে। ভেবেছিলাম প্রথম ম্যাচে হারার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে একটা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারব। কিন্তু আরও বেশি খারাপ খেলল ছেলেরা।’

পাকিস্তান দলের প্রশংসায় ডমিঙ্গো বলেন, ‘আবারও বলতে হয় ওরা এই সংস্করণে এক নাম্বার দল। আমরা সেখানে ৯ নম্বরে। অভিজ্ঞতা ও দক্ষতায় দুদলের অনেক পার্থক্য। ওদের ধরতে হলে আমাদের আরও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে।’

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/জানুয়ারি ২৬,২০২০)