দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া চীন থেকে ফল আমদানিতে ব্যবসায়ীদের নিরুৎসাহিত করছে সরকার। মঙ্গলবার সচিবালয়ে ফল আমদানিকারকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

চীন থেকে বাংলাদেশে ফল আমদানি হয় এবং এ ফলের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে কিনা, সাংবাদিকরা জানতে চাইলে ফ্রেশ ফ্রুটস ইম্পোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সেলিমুল হক ইসা বলেন, ‘চীনে নববর্ষের ছুটি ছিল গত ২০ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এর আগে যেগুলো এলসি সেগুলো আসছে, বাকিগুলো তারা বন্ধ করে রেখেছে। ওরাও লেবার পাচ্ছে না এক্সপোর্ট করার জন্য, এজন্য সে ফল আসবে না। রোজার মধ্যে সমস্যা হবে না, কারণ আমরা অন্যান্য দেশ মালদ্বীপ, চিলি, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফল আমদানি শুরু করেছি।’

চীনের করোনাভাইরাস পরিস্থিতির উন্নতি না হলে রোজার সময় ফলের সরবরাহে প্রভাব পড়বে কিনা, এ বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘রোজার সময় আমরা মূলত খেজুর খেয়ে থাকি। সেই সময় অনেক গরম থাকবে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, গরম পড়লে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব কমে যায়।’

‘এই মুহূর্তে আমদানিকারকদের চীন থেকে ফল আমদানিতে ডিসকারেজ (নিরুৎসাহিত) করব আমরা। এটা নিরুৎসাহিত করব। যদিও ফলের মাধ্যমে এ ভাইরাস আসে না’, বলেন আব্দুর রাজ্জাক।

কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান বলেন, ‘এই ভাইরাসটা হিউম্যান হোস্ট ছাড়া অন্য মসলা বা ফলের মাধ্যমে ছড়ায় এ রকম কোনো নিউজ (সংবাদ) আন্তর্জাতিক বা দেশীয় গণমাধ্যমে আসেনি। চীনে নিউ ইয়ারের পর যেসব আমদানি শুরু হওয়ার কথা তা আসেনি। আমরা মনে করি না ফল বা মসলার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে।’

ফ্রেশ ফ্রুটস ইম্পোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতা সিরাজুল ইসলাম বলেন, দেশে প্রচুর পরিমাণে ফল উৎপাদন হচ্ছে। দেশে আম, তরমুজ প্রচুর পরিমাণে উৎপাদন না হলেও আমদানি হচ্ছে। এসব আমদানি বন্ধ করা উচিত।

সভায় কলা, লিচু, আনারসের আন্তর্জাতিক বাজার ধরতে প্রক্রিয়াজাত কারখানা স্থাপনে সরকারের সহযোগিতা চান ব্যবসায়ীরা। ফল রফতানির জন্য প্রক্রিয়াজাত ও প্যাকেজিং কারখানা করার জন্য ব্যবসায়ীদের সহযোগিতার আশ্বাসও দেন কৃষিমন্ত্রী।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ফেব্রুয়ারি ১৮,২০২০)