দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক (বহিষ্কৃত) শামীমা নূর পাপিয়ার কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল। গতকাল রোববার বিকেলে পাপিয়াকে বহিষ্কার করে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তি নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে অপু এ দাবি করেন।

অপু বলেন, ‘এই সকল সমাজের কীটদের অপকর্মের দায় সংগঠন কখনোই নেবে না। এদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হোক।’

যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি নাজমা আকতার ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক অপু উকিল স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনের গঠনতন্ত্রের ২২ (ক) উপধারা অনুযায়ী দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে পাপিয়াকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হলো।

পালিয়ে দেশত্যাগ করার সময় গতকাল শনিবার রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শামিমা নূর পাপিয়া (২৮) এবং তার স্বামী ও অপরাধের সহযোগী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমন (৩৮), সাব্বির খন্দকার (২৯), ও শেখ তায়্যিবাকে (২২) গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

র‌্যাব বলছে, গ্রেপ্তারকৃতরা নরসিংদী ও ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ অস্ত্রের কারবার, মাদককারবার, চাঁদাবাজিসহ নারীঘটিত অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত। তারা হুণ্ডির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করেছে।

গতকাল সন্ধ্যায় কারওয়ানবাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-১ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শফিউল্লাহ বুলবুল। তিনি বলেন, ‘অনুসন্ধানে র‌্যাব জানতে পারে, গ্রুপটি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ গোপনে দেশের বাইরে পাচার করে আসছে। টাকা পাচারের পর তারা গোপনে দেশত্যাগের জন্য বিমানবন্দরে অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে র‌্যাব-১-এর একটি আভিযানিক দল হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, ২ লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার টাকা মূল্যের জালনোট, ৬০০ ভারতীয় রুপি ৩১০, ৪২০ শ্রীলংকান মুদ্রা, ১১ হাজার ইউএস ডলার এবং সাতটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।’

লেফটেন্যান্ট কর্নেল শফিউল্লাহ বুলবুল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানান, অবৈধভাবে অর্থপাচার ও জাল টাকা প্রস্তুতকারী এ গ্রুপের প্রধান শামিমা নূর পাপিয়া এবং তার স্বামী মফিজুর রহমান সুমন তার সহযোগী। এ ছাড়া সাব্বির খন্দকার ও শেখ তায়্যিবা তার ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস)।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ফেব্রুয়ারি ২৪,২০২০)